ফুটবল মাঠে খেলোয়াড়দের খারাপ পারফর্মেন্সে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদেরকে নিয়ে কম বেশি সমালোচনা সবাই করে। সমালোচনার পাশাপাশি ফুটবলারদেরকে হেনস্তা করার বিষয়টিও সমানতালে চলে। এই নিয়ে বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা একটি জরিপ চালিয়েছে, সেখানে দেখা গেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সবচেয়ে বেশি হেনস্তার শিকার হয়েছেন মিশরীয় তারকা সালাহ ও ইংলিশ ফুটবলার মার্কাস র্যাশফোর্ড।
২০২০ ইউরো ও ২০২১ আফ্রিকান নেশনস কাপের ফাইনালে খেলোয়াড় ও কোচদের নিয়ে করা টুইট বার্তা ও ইনস্টাগ্রাম পোস্ট পর্যালোচনা করেছে ফিফা। এই সময়ে দুই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ৪ লাখ ৯৮৭ টি বার্তা পর্যালোচনা করেছে তারা।
সেখানে দেখা গেছে ইউরো ফাইনালের ইংল্যান্ডের হারের পর সবচেয়ে বেশি সমালোচনার শিকার হয়েছেন মার্কাস র্যাশফোর্ড ও বুকায়ো সাকা। এই দুই কৃষ্ণাজ্ঞ ফুটবলারের পেনাল্টি মিসেই ইংলিশদের শিরোপা হাতছাড়া হয়েছিল।
এই ম্যাচের পর সমর্থকদের করা ৭৮ শতাংশ হয়রানিমূলক পোস্টই ছিল বর্ণবাদী ও সমাকামিতার ইঙ্গিতপূর্ণ। ইংল্যান্ডের ইউরো হারের পর তৃতীয় সর্বোচ্চ হয়রানির শিকার হয়েছিলেন জর্ডান সাঞ্চো। তিনিও ফাইনালে পেনাল্টি মিস করেছিলেন।
ইংলিশ সমর্থকরা ওইদিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বর্ণবাদী আচরণ করেছিলেন। এমনকি প্রায় সব সময়ই এই কাজ করে থাকেন সমর্থকরা।
বিপরীতে আফ্রিকা নেশনস কাপ ফাইনালে মোহাম্মদ সালাহ ও সাদিও মানে দুইজনই হেনস্তার শিকার হয়েছেন। এই দুই ফুটবলার বর্ণবাদী আচরণের শিকার না হলেও ধর্ম নিয়ে বেশ হেনস্তার শিকার হয়েছিলেন। উল্লেখ্য যে, আফ্রিকান এই দুই ফুটবলার ইসলাম ধর্মের অনুসারী।
ফিফা ছাড়াও অন্য এক প্রতিষ্ঠানের করা পর্যবেক্ষণে দেখা গিয়েছে টুইটারে ফুটবল নিয়ে করা টুইট বার্তায় ১ শতাংশই করা হয় ফুটবলারদের হেনস্তা করতে। শুধু তাই নয়, ফুটবলাররা নিজ দেশেই সবচেয়ে বেশি হেনস্তার শিকার হন। আর ক্লাব ফুটবলে প্রতিপক্ষ সমর্থকদের হেনস্তার শিকার হওয়াও বেশ বেড়েছে।
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর