স্পোর্টসমেইল২৪
চলতি বছরের শেষ দিকে অনুষ্ঠিতব্য কাতার বিশ্বকাপে আগত দর্শকদের মাঝে ১২ লাখ দর্শককে ‘ঐতিহ্যবাহী তাঁবুতে’ রাখার চিন্তা করছে স্বাগতিক কাতার। আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
টুর্নামেন্টের স্থানীয় আয়োজক কমিটির আবাসনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ওমর আল জাবের বলেছেন, ‘বিশ্বকাপে আগত দর্শকদের আবাসনের জন্য এটি একটি ‘বিকল্প’, যেটি আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে দৃশ্যমান হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘এটি হচ্ছে বাস্তব ক্যাম্পিং। আমরা অতিথিদেরকে সাধারণ বেদুইনদের আদলে মরুভূমিতে বসবাসের অভিজ্ঞতা দিতে চাই। ওই তাঁবুতে বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহের পাশাপাশি থাকবে পয়োনিস্কাশন ব্যবস্থা। তবে খরতাপের ওই দেশের উষ্ণতা থেকে বাঁচার জন্য থাকবে না কোন শীততাপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র।’
মধ্যপ্রাচ্যের খরতাপ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বিশ্বকাপ ফুটবলের ইতিহাসে প্রথম টুর্নামেন্টটির স্বাভাবিক সময় থেকে পিছিয়ে বছরের শেষ ভাগে, অর্থাৎ নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে নেওয়া হয়েছে। ২১ নভেম্বর মাঠে গড়াবে টুর্নামেন্টটি। শেষ হবে ১৮ ডিসেম্বর।
গ্যাস সমৃদ্ধ ধনী ওই দেশটিতে বিশ্বকাপগামী দর্শকদের জন্য আরও ২০০ বিলাসবহুল তাঁবু স্থাপনেরও পরিকল্পনা রয়েছে। দেশের দক্ষিণে মরুভূমির কাছাকাছি সিলাইন সমুদ্র সৈকত এলাকায় এগুলো স্থাপন করা হবে বলে জানান জাবের। বলেন, ‘বিশ্বকাপ চলাকালে দর্শকদের জন্য একলাখেরও বেশি রুমের ব্যবস্থা করতে চাই।’
বিশেষভাবে তৈরিকৃত পরিকল্পিত গ্রাম, এপার্টমেন্ট, ভিলা ও দুটি ক্রুজ শিপের মধ্য থেকে যেকোনটাই থাকার জন্য বেছে নিতে পারবেন দর্শকরা। ইতিমধ্যে দেশটির সিংহভাগ হোটেলের রুমগুলো বুকিং দিয়ে রেখেছে আয়োজকরা। যেখানে ফুটবল দল, রেফারি, গণমাধ্যম ও ফিফা কর্মকর্তারা অবস্থান করবে।
ওমর আল জাবের বলেন, ‘অনেকগুলো হোটেল এখনও নির্মাণাধীন। তবে আশা করছি, কয়েক মাসের মধ্যে সেখান থেকে আরও কক্ষ পাওয়া যাবে।’
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস
