২০২১-২২ মৌসুম শেষ হওয়ার আগে থেকেই গুঞ্জন ছিল, সাদিও মানে লিভারপুল ছেড়ে যাবেন। চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের পর ক্লাবকে জানিয়েও দিয়েছিলেন, চলে যেতে চান। তখন থেকেই তার পরবর্তী ঠিকানা হিসেবে উচ্চারিত হচ্ছিল বায়ার্ন মিউনিখের নাম। অবশেষে সেটাই হলো, জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখেই যাচ্ছেন এই সেনেগাল স্ট্রাইকার।
লিভারপুল সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিল তার অন্যতম সেরা সেনানীকে ধরে রাখার জন্য। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি তাতে! মানে তার সিদ্ধান্তে অটঁল, নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে চান তিনি।
বায়ার্ন মিউনিখ থেকে রবার্ট লেভানডোভস্কির চলে যাওয়া প্রায় নিশ্চিত। এই পোলিশ স্ট্রাইকারের বিকল্প হিসেবে মানেকেই প্রথম পছন্দ ছিল জার্মান ক্লাবটির। তবে প্রথম প্রস্তাবে তাদের খালি হাতেই ফিরিয়ে দিয়েছিল লিভারপুল। এমনকি দ্বিতীয় প্রস্তাবেও হতাশ হতে হয়েছে বায়ার্ন মিউনিখের।
অবশেষে তৃতীয়বারের চেষ্টায় সফল মিউনিখ। লিভারপুলের সাথে মানের ব্যাপারের সবরকম বিষয়ে সম্মত হয়েছে তারা। প্রায় ৪০ মিলিয়নের কাছাকাছি ইউরোতে সেনেগাল স্ট্রাইকারকে দলে ভেড়াচ্ছে বায়ার্ন মিউনিখ। খুব দ্রুতই মেডিকেল টেস্ট হবে মানের। চলতি সপ্তাহের শেষে আসতে পারে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা।
শতবর্ষে বিশ্বকাপ: ২০৩০ সালে স্বাগতিক হতে চায় আর্জেন্টিনা-উরুগুয়ে
২০১৬ সালে আরেক ইংলিশ ক্লাব সাউদাম্পটন থেকে লিভারপুলের গিয়েছিলেন মানে। ছয় বছরে অলরেডদের পরিকল্পনার অন্যতম অংশ ছিলেন মানে। লিভারপুলের সমর্থকদের মধ্যেও দারুণ জনপ্রিয় এই সেনেগাল স্ট্রাইকার।
অলরেডদের জার্সি গায়ে ১৯৬ ম্যাচে মাঠে নেমেছেন মানে। এ সময়ে গোল করেছেন ৯০টি। লিভারপুলের ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ (ইপিএল) শিরোপা পুনরুদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল মানের। অলরেডদের হয়ে ছয় বছরে তিনবার চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল খেলেছেন তিনি। এক বার শিরোপাও উঁচিয়ে ধরেছেন।
স্পোর্টসমেইল২৪/এসকেডি