মিশরকে ২০২২ কাতার বিশ্বকাপে না তুলতে পারার ব্যর্থতার দায়ে ছাটাই হয়েছিলেন পর্তুগিজ কার্লোস কুইরোজ। তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন এহাব গালাল। মাত্র তিন ম্যাচ দায়িত্ব পালনের পর তাকেও বরখাস্ত হতে হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) এহাব গালালের ভবিষ্যত নির্ধারণে বৈঠকে বসে মিশরীয় ফুটবল ফেডারেশন (ইএফএ)। বৈঠকেই গালালকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তার বদলি হিসেবে তারা বিদেশি নতুন কোনো কোচের উপর ভরসা রাখতে চায়।
কাতার বিশ্বকাপে দলকে তুলতে না পারার ব্যর্থতা নিয়ে মিশরের কোচের পদ থেকে ছাটাই হওয়ার পর মাত্র দুই মাস দলটির হেড কোচের পদে থাকতে পেরেছেন গালাল। এই সময়ে তার অধীনে মাত্র তিন ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছে মিশর। যার মধ্যে দুইটিতে আবার দলটির বড় তারকা মোহাম্মদ সালাহ ছিলেন না।
আফ্রিকান নেশনস কাপ বাছাইপর্বের প্রথম ম্যাচে গিনির বিপক্ষে কষ্টার্জিত ১-০ গোলের জয় পায় মিশর। পরের ম্যাচে ইথিওপিয়ার বিপক্ষে হারে ২-১ ব্যবধানে।
প্রথম দুই ম্যাচের ফল মানতে পারলেও প্রীতি ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষের ম্যাচের ফলাফল মানতে পারেনি দেশটির ফুটবল ফেডারেশন। এশিয়ার প্রতিনিধিদের বিপক্ষে ৪-১ গোলে হারে আফ্রিকার দেশটি। অবশ্য পরাজিত দুই ম্যাচে দলের সেরা তারকা মোহাম্মদ সালাহকে পাননি কোচ এহাব গালাল।
শেষ দুই ম্যাচের পারফর্মেন্সে হতাশ মিশরীয় ফুটবল ফেডারেশন জানিয়েছে, গালালের পরিবর্তে বিদেশি কাউকে কোচ হিসেবে হিসেবে আনা হবে। শুধু তাই নয়, টেকনিক্যাল ডিরেক্টর ও অলিম্পিক দলের জন্যও বিদেশিদের উপর ভরসা রাখতে চান তারা।
ইএফএ কর্মকর্তা হাজিম ইমাম বলেন, “আমি বিদেশি কাউকে নিয়োগ দিবো। আমরা ইতিমধ্যেই অনেকগুলো সিভি পেয়েছি। জাতীয় দলের কোচের বাইরে টেকনিক্যাল ডিরেক্টর ও অলিম্পিক দলের জন্য বিদেশি কাউকে নিয়োগ দেওয়া হবে।”
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর