১৯৩০ সালে শুরু হওয়া ফুটবল বিশ্বকাপ এখন শতবর্ষের দোড়গোড়ায়। ২০৩০ সালে বিশ্বকাপ ফুটবলের শততম বর্ষ পূরণ হবে। স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বকাপের এমন অর্জনে আয়োজনও হবে বড়সড়। এই ঐতিহাসিক অর্জনের বছরে বিশ্বকাপ আয়োজন করতে চায় আর্জেন্টিনা-উরুগুয়ে।
ফুটবল বিশ্বকাপ মানেই ফুটবল প্রেমীদের জন্য বাড়তি উন্মাদনা। চার বছর পর পর হওয়া বিশ্ব আসর থেকে সোনালি রঙ এর শিরোপা ছিনিয়ে নিতে প্রতিটি দল মাঠে নিজেদের নিংড়ে দেয়। একটা বিশ্বকাপ জেতার জন্য নিজের সর্বস্বটুকুও দিতে রাজি হয়ে যান ফুটবলাররা।
বিশ্বকাপের ২২তম আসর বসতে চলেছে আরব দেশ কাতারে। এটা তো গেল আসরের হিসাব, যদি বছর হিসেব করা হয় তাইলে আজ থেকে ৯২ বছর আগে ফুটবলের এই মহারণ শুরু হয়েছিল লাতিন আমেরিকার দেশ উরুগুয়েতে। প্রথম আসর থেকে শিরোপাও বাগিয়ে নিয়েছিল তারাই।
প্রথম আসরের আয়োজক উরুগুয়ে আবারও আয়োজন করতে চায় ফুটবল বিশ্বকাপ। তবে এবার আর্জেন্টিনা, চিলিসহ একাধিক দেশকে সাথে নিতে চায় তারা। ফুটবল বিশ্বকাপের শততম বছর বলে কথা। আয়োজনেও তো বিশেষত্ব আনতে হবে, সেক্ষেত্রে পুরো লাতিন আমেরিকা একসাথে নামতে চায় বলে জানিয়েছেন লাতিন আমেরিকা ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা কনমেবলের সভাপতি আলেজান্দ্র ডমিনগুয়েজ।
২০২৬ বিশ্বকাপ: আয়োজক শহর চূড়ান্ত করলো ফিফা
বলেন, “বিশ্বকাপের শতবর্ষ ফুটবল ইতিহাসের ঐতিহ্যবাহী একটি বিষয়।” আলেজান্দ্র আশা করছেন লাতিন আমেরিকাতেই পুরো বিশ্বকাপ আয়োজন করতে পারবেন। বিশ্বকাপ আয়োজন করার জন্য আর্জেন্টিনা, চিলি ও উরুগুয়ে মোটামুটি প্রস্তত থাকলেও প্যারাগুয়ের কিছু কাজ করার প্রয়োজন।
তবে বিশ্বকাপ আয়োজেনের এই লড়াই সহজে হয়তো জিততে পারবে না কনমেবল। ইউরোপ থেকে স্পেন ও পর্তুগালও বিশ্বকাপের শতবর্ষে বিশ্বকাপ আয়োজন করতে চায়। এখন দেখার অপেক্ষা, শেষ পর্যন্ত বিশেষ বিশ্বকাপ আয়োজনের সুযোগ কোন দেশ পায়।
স্পোর্টসমেইল২৪/এসকেডি