ইউরোপিয়ান ফুটবলে দল-বদল মানেই ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটি ও ফরাসি ক্লাব পিএসজির অর্থের বস্তা নিয়ে মাঠে নামা। ঠিক কিভাবে ক্লাব দু’টি এতো অর্থ খরচ করছে সেই বিষয়ে তদন্ত করতে ইউরোপিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফার কাছে অভিযোগ জানিয়েছে লা লিগা। বুধবার (১৫ জুন) এক বিবৃতিতে স্প্যানিশ শীর্ষ লিগ এই বিষয়ে অভিযোগ জানানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
বুধবার লা লিগা তাদের বিবৃতিতে জানায়, ভবিষ্যতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ফ্রান্স ও সুইজারল্যান্ডের মাধ্যমেও আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার চিন্তা ভাবনা করছে। কারণ তাদের মতে এই দুই ক্লাব ক্রমাগত ইউরোপিয়ান ফুটবলের ফিন্যান্সিয়াল ফেয়ার প্লে’র নিয়ম ভাঙছে।
এর আগে পিএসজির বিপক্ষে ফিন্যান্সিয়াল ফেয়ার প্লে নিয়ম ভাঙার অভিযোগ তুলে লা লিগা। মূলত কিলিয়ান এমবাপের সাথে হওয়া চুক্তির পর এই অভিযোগ তুলেছিল তারা। ইউরোপিয়ান সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বেশ বড় অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে পিএসজি এমবাপেকে ধরে রাখে।
পিএসজি শুধু এমবাপে নয়, লিওনেল মেসি, নেইমারসহ এক ঝাঁক তরুণ ফুটবলারদের বড় অঙ্কের বেতন দিচ্ছে। শুধু বেতন নয়, সাথে রয়েছে বিভিন্ন বোনাসও।
এমবাপের চুক্তির পর নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে পিএসজির লাগামহীন খরচ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল লা লিগা। তাদের দাবি, সর্বশেষ ২০২০-২১ মৌসুমে ২২ কোটি ইউরোর বেশি হারিয়েছে প্যারিসের দলটি। এর আগের মৌসুমগুলোতে তাদের ৭০ কোটি ইউরোর বেশি ক্ষতি হয়েছিল।
লা লিগা সভাপতি হাভিয়ের তেবাস তখনই জানিয়েছিলেন, পিএসজির বিরুদ্ধে উয়েফা, ফ্রান্সের প্রশাসনিক ও কর কর্তৃপক্ষ এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানাবে লা লিগা। আর শেষ পর্যন্ত ওই পথেই হেঁটেছে লা লিগা।
পিএসজির মতো একই পথে হেঁটেছে ম্যানচেস্টার সিটিও। বরুশিয়া ডর্টমুন্ড থেকে পাঁচ বছরের চুক্তিতে তারা দলে টেনেছে তারকা ফরোয়ার্ড আর্লিং হলান্ডকে।
জার্মান গণমাধ্যমের খবর, ট্রান্সফার ফি, হলান্ডের বেতন ও বোনাস এবং এজেন্টের ফি মিলিয়ে চুক্তির অঙ্ক ছাড়িয়ে যেতে পারে ৩০ কোটি ইউরো।
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর