অনেক প্রত্যাশা নিয়ে আরেক ইংলিশ ক্লাব অ্যাস্টন ভিলা থেকে জ্যাক গ্রিলিশকে উড়িয়ে এনেছিল ম্যানচেস্টার সিটি। অভিষেক মৌসুমে তাকে ঘিরে সিটির প্রত্যাশা ঠিকঠাক মেটাতে পারেননি এই ইংলিশ ফুটবলার। অন্যদিকে ইংল্যান্ডের হয়ে দারুণ পারফর্ম করছেন তিনি। এর পিছনে সিটির চেয়ে ইংল্যান্ডের জার্সিতে বেশি স্বাধীনতা পাওয়ার কথা বললেন গ্রিলিশ।
সাধারণত দেখা যায় ক্লাবে সফল ফুটবলাররা জাতীয় দলে সহজাত খেলা খেলতে পারেন না। তবে গ্রিলিশের বেলায় ঘটেছে উল্টোটা। সিটির জার্সিতে যতটা বিবর্ণ, ইংল্যান্ডের জার্সিতে ঠিক ততটাই উজ্বল তিনি।
১০০ মিলিয়ন মূল্যের খেলোয়াড়, অথচ সিটির একাদশেই নিয়মিত হতে পারেননি। সেই একই ব্যক্তি ইংলিশদের জার্সি গায়ে জড়ালেই নিজেকে খুঁজে পাচ্ছেন চেনা ছন্দে। এটা হওয়ার কারণ ইংল্যান্ড দলে নিজের ইচ্ছা মতো খেলতে পারছেন বলে মনে করেন গ্রিলিশ।
গ্রিলিশ বলেন, “কোচ আমাকে এটাই করতে বলেছিলেন, মাঠে গিয়ে নিজের মতো খেলতে এবং সুযোগ তৈরির চেষ্টা করতে। আমি সেটাই করেছি। মাঝে মাঝে আমি এটা অনুভব করি, যখন আমি এখানে (জাতীয় দলে) থাকি তখন আমি যতটা সম্ভব স্বাধীনতা নিয়ে খেলতে এবং চেষ্টা করতে পারি।”
ম্যানসিটির কোন খেলোয়াড় গার্দিওয়ালাকে পছন্দ করে না: প্যাট্রিক এভরা
তবে হাল ছাড়ছেন না তিনি। ইংল্যান্ডের ফর্ম সিটিতেও টেনে নিয়ে যেতে চান গ্রিলিশ। ইংলিশ জার্সির মতো সিটির জার্সিতেও একইরকম স্বাধীনতা নিয়ে খেলতে চান তিনি। বলেন, “যখন আমি মাঠে নামি, এটা ব্যাখ্যা করা কঠিন। আমি মনে করি, আমি এখানে (ইংল্যান্ড দলে) অনেক বেশি স্বাধীনতা নিয়ে খেলি এবং আশা করি আমি এটা আমার ক্লাব ফুটবলে নিয়ে যেতে পারব এবং উন্নতি চালিয়ে যেতে পারব।”
সিটিজেনদের হয়ে অভিষেক মৌসুমে ২৬ ম্যাচ খেলছেন গ্রিলিশ। যেখানে তিনটি গোল করেছেন সিটির নাম্বার টেন। তবে সিটিজেন বস পেপ গার্দিওয়ালার দলে এখনও মূল একাদশে নিয়মিত হতে পারেননি এই ইংলিশ ফুটবলার।
স্পোর্টসমেইল২৪/এসকেডি