ফুটবল পাড়ায় গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, নতুন মৌসুমে প্যারিস সেইন্ট জার্মেইয়ের (পিএসজি) ডাগআউটে আর দেখা যাবে না মারিসিও পচেত্তিনোকে। ইতোমধ্যে তার বিকল্পও নাকি দেখতে শুরু করেছে ফরাসি ক্লাবটি। তবে এই গুঞ্জন স্রেফ উড়িয়ে দিলেন পিএসজি বস। এও জানিয়ে রাখলেন, পিএসজির সঙ্গে তার আরও এক বছরের চুক্তি বাকি আছে। সুতরাং গুজবে কান দিচ্ছেন না তিনি।
সদ্য সমাপ্ত ২০২১-২২ মৌসুমটা ভালো কাটেনি ফরাসি জায়ান্ট প্যারিস সেইন্ট জার্মেইর (পিএসজি)। এক লিগ শিরোপা ছাড়া আর কিছুই ভাগ্যে জুটেনি তাদের। তারকায় ঠাসা শক্তিশালী দল গড়ার পরও এমন সাফল্য খরায় হতাশ পিএসজি কর্তৃপক্ষ। দ্য টেলিগ্রাফের প্রতিবেদন মতে, তাদের ভাবনায় এখন নতুন কোচিং প্যানেল। পছন্দের তালিকায় রয়েছেন পর্তুগিজ কোচ হোসে মরিনহো।
ঐদিকে, ছুটি বর্তমানে বার্সেলোনায় রয়েছেন পচেত্তিনো। সেখানেই স্প্যানিশ দৈনিক মার্কার মুখোমুখি হয়েছিলেন এই আর্জেন্টাইন। তিনি জোর দিয়েই বলেছেন যে, ভবিষ্যতে ফরাসি ক্লাবটির সাথেই থাকবেন তিনি। কারণ কারণ তার বর্তমান চুক্তিতে এখনও এক বছর বাকি রয়েছে।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে নিজেদের মাঠে হেরে বাদ পড়াতেই তার প্রতি যত ক্ষোভ ক্লাবের। তবে সেসব ঝেড়ে ফেলে নতুন মৌসুমের দিকে নজর দিয়েছেন ৫০ বছর বয়সী এই কোচ। আশা করছেন, ২০২২-২৩ মৌসুমে সফল হবে ফরাসি জায়ান্টরা।
পচেত্তিনো বলেন, ‘আমার চুক্তিতে আরও এক বছর বাকি আছে। সব সময় অনেক গুজব হয়। সেগুলোতে তো আমাকে প্রতি সপ্তাহে অনেকবার বরখাস্ত করা হয়েছে। পিএসজির মতো ক্লাবে যেতে হলে আপনাকে একজন দুর্দান্ত কোচ হতে হবে। দেড় বছর পর মনে হচ্ছে আমি সেরাদের একজন।’
রিয়ালের বিপক্ষে হারের কারণ হিসেবে দল গুছিয়ে উঠতে না পারার কারণকেই দায়ী করছেন পচেত্তিনো। তিনি বলেন, ‘আমরা রিয়াল মাদ্রিদকে হারানো থেকে এক ধাপ দূরে ছিলাম, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা জয়ের যোগ্য ছিল। রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ম্যাচটি তখন হলো, যখন দল নিজেকে খুঁজে পেতে শুরু করেছে।’
মেসি বার্সেলোনা ছেড়ে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে পিএসজিতে যোগত দিয়েছিলেন। সবার সঙ্গে মানিয়েও নিয়েছেন আর্জেন্টাইন ক্ষুদে জাদুকর। এ নিয়ে পচেত্তিনো বলেন, ‘এটি দ্রুত ঘটেছিল। তিনি ঘোষণা করেছিলেন যে তিনি বার্সেলোনা ছেড়ে যাচ্ছেন এবং তিন দিন পরেই এখানে এসে পড়েন।’
‘এটি সত্যিই মাত্র তিন দিন সময় নিয়েছে। তিনি তার পুরো পরিবার এবং বাচ্চাদের নিয়ে এসেছিলেন। এটি মোটেই সহজ সময় ছিল না। ফুটবল আলাদা, তাকে তার সতীর্থদের সাথে মানিয়ে নিতে হয়েছিল। তবে মেসি শ্রদ্ধা এবং প্রশংসা আদায় করে নিয়েছিল। তিনি দ্রুত মানুষের মন জয় করতে পারেন।’
স্পোর্টসমেইল২৪/এএইচবি