রাশিয়া বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্সের কাছে হারের ক্ষতটা এখনো বয়ে বেড়াচ্ছে ক্রোয়েশিয়া। এই ম্যাচে সুযোগ ছিল সেই ক্ষতে কিছুটা প্রলেপ দেওয়ার। তবে সেটাও হলো না, পারলো না ক্রোয়েশিয়া। নিজেদের মাঠে ফ্রান্সকে পেয়েও নেশনস লিগে ১-১ গোলে ড্র করে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেছে তারা।
বাংলাদেশ সময় সোমবার (৬ জুন) ম্যাচের শুরু থেকেই দু দলের দুর্বলতা ছিল চোখে পড়ার মতো। এর মাঝেই ম্যাচের ১৮তম মিনিটে ভালো একটি সুযোগ পায় ক্রোয়েশিয়া। সতীর্থের থ্রু বল ধরে এগিয়ে ছয় গজ বক্সে গিয়ে কোনাকুনি শট নেন আন্তে বুদিমির, কর্নারের বিনিময়ে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক মাইক মিয়াঁ।
ফ্রান্স প্রথম সুযোগ পায় ৩৮তম মিনিটে। এক সতীর্থের থ্রু পাস ধরে দারুণ গতিতে ডি-বক্সে ঢুকে শিট নিয়েছিলেন মুসা দিয়াবি। তার নেওয়া কোনাকুনি শট ঠেকিয়ে দেন ক্রোয়েশিয়া গোলরক্ষক দমিনিক লিভাকোভিচ। পরের মিনিটে অগেলিয়া চুয়ামেনির শটও ঠেকিয়ে দেন ক্রোয়াট গোলরক্ষক।
প্রথমার্ধে এই দুইটা আক্রমণ ছাড়া তেমন বলার মতো কিছু করতে পারেনি দুই দল। দ্বিতীয়ার্ধের ৫২তম মিনিটে এগিয়ে যায় ফ্রান্স।। মাঠের বাঁ দিক ধরে আক্রমণে উঠে রক্ষণচেরা থ্রু বল বাড়ান উইসাম বেন ইয়েদের। দুরন্ত গতিতে ডি-বক্সে ঢুকে জোরালো শটে গোলটি করেন জুভেন্টাস মিডফিল্ডার আদ্রিওঁ রাবিও।
গোল খেয়ে শোধ করতে মরিয়া হয়ে ওঠে ক্রোয়েশিয়া। ৭০তম মিনিটে একক প্রচেষ্টায় দারুণ শট নিলেও সেটা ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন ফ্রান্স গোলরক্ষক। এর মধ্যে একবার গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন বদলি নামা অ্যান্তোনিও গ্রিজমানও। তবে ব্যবধান আর বাড়তে দেননি ক্রোয়েট প্রহরী লিভাকোভিচ।
সবাই ভেবেছিল জিতেই মাঠ ছাড়বে ফ্রান্স। তবে সেটা হতে দেননি আন্দ্রেই কামারিচ। ৮৩তম মিনিটে সফল স্পট কিকে সমতা টানেন তিনি। ডি-বক্সের ভিতর তাকে ফাউল করেন ফ্রান্সের এক খেলোয়াড়। প্রথমে রেফারি অফসাইডের বাঁশি বাজালেও ভিএআরে পাল্টায় সিদ্ধান্ত। সমতায় ফেরে ক্রোয়েশিয়া।
বাকি সময়ে দুই দলই একটি করে ভালো সুযোগ পায়, কিন্তু সফল হয়নি কেউই। এবারের নেশন্স লিগে এখন পর্যন্ত তাই জয়শূন্যই রইল দল দুটি। ৯ বারের মুখোমুখি লড়াইয়ে এই নিয়ে তৃতীয়বার অমীমাংসিত রইলো ম্যাচ। বাকি ছয়টি জিতেছে ফরাসিরা।
স্পোর্টসমেইল২৪/এএইচবি