মৌসুমের শুরুটা ভালো না হলেও শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়নস লিগ ও লা লিগার শিরোপা জিতেছে রিয়াল মাদ্রিদ। মৌসুম শেষেই দল ছেড়েছেন তিন গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার মার্সেলো, গ্যারেথ বেল ও ইসকো। পুরাতনদের বিদায়ে নতুন ফুটবলার দলে নিতে দল-বদলে রিয়ালকে বেশ ঘাম ঝড়াতে হবে। নতুনদের দলে নিতে কোচ কার্লো আনচেলত্তি ৩৫০ মিলিয়ন খরচ করার সুযোগ পাচ্ছেন।
লা লিগার দলগুলোর অর্থ খরচের বিষয়টি বেশ কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করে কর্তৃপক্ষ। এরপরেও আসন্ন দল-বদল মৌসুমে ৩৫০ মিলিয়ন খরচ করার সুযোগ পাচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদ। লা লিগার অন্য কোনো ক্লাব এতো বেশি অর্থ খরচের সুযোগ পাচ্ছে না।
মূলত চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা নিজেদের ঘরে তুলতে পারায় গ্যালাক্টিকোরা এই সুযোগ পেয়েছে। ইউরোপ সেরা মুকুট জেতায় স্পেনের সফলতম ক্লাবটির ব্যাংক একাউন্টে যোগ হয়েছে ১১৩ মিলিয়ন ইউরো। এর মধ্যে ৩০ মিলিয়ন ইউরো পাবে দলটির ফুটবলাররা। বাকি ৮৩ মিলিয়ন দল-বদলে খরচ করতে ক্লাবটি।
২০২১-২২ মৌসুমে ফুটবলারদের বেতন বাবদ ৩০০ মিলিয়ন ইউরো খরচ করেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। তবে ২০২২-২৩ মৌসুম থেকে ফুটবলারদের বেতন-বোনাস বাবদ ৬৩৪ মিলিয়ন খরচ করার সুযোগ পাচ্ছে তারা।
এদিকে মার্সেলো, ইসকো ও বেল দল ছাড়ায় দলটির খরচ ৭৫ মিলিয়ন ইউরো কমে গিয়েছে। এটাও দলটির দল-বদলে বড় ব্যয় করার সুযোগ তৈরি করার অন্যতম একটি কারণ।
লিভারপুলকে হতাশ করে রিয়ালের রেকর্ড ১৪তম শিরোপা
এছাড়াও সম্প্রতি রিয়াল মাদ্রিদের হোম ভেন্যু সান্তিয়াগো ব্যার্নাব্যুতে ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালানোর সুযোগ পেয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুই প্রতিষ্ঠান। তাদের সাথে স্প্যানিশ ক্লাবটি ৩১০ মিলিয়ন ইউরো চুক্তি করেছে। সেই সুবাদেও দল-বদলে বড় অঙ্কের অর্থ খরচের সুবিধা পাচ্ছে তারা।
রিয়াল মাদ্রিদ তাদের স্কোয়াড থেকে জেসুস ভ্যালেও, মার্কোস অ্যাসেনসিও, দানি সেবেলাও, লুকা জোভিক ও মারিয়ানোর মধ্যে যে কাউকে বিক্রি করতে আগ্রহী। এদের মধ্যে কাউকে বিক্রি করতে পারলে রিয়ালের দল-বদলের বাজেট আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন ইউরোপিয়ান গণমাধ্যম।
তবে খেলোয়াড় বিক্রি না করলেও নতুন ফুটবলারদের নিজেদের দলে ভেড়াতে ৩৫০ মিলিয়ন ইউরো খরচ করতে পারার বিষয়টি একদমই নিশ্চিত হয়েছে। অথচ চলতি বছরের জানুয়ারিতে জানা গিয়েছিল দল-বদলে রিয়ালের বাজেট মাত্র ২২০ মিলিয়ন ইউরো। চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতায় তা বেড়ে দাঁড়ালো ৩৫০ মিলিয়ন ইউরোতে।
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর