রবার্তো মানচিনির অধীনে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছিল চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইতালি। তার অধীনেই স্পেনকে হারিয়ে ২০২০ ইউরোতে চ্যাম্পিয়ন হয় আজ্জুরিরা। ইউরোর শিরোপা জেতার পরই অধঃপতন শুরু হয় ইতালির।
বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ারের ম্যাচে নর্থ মেসিডোনিয়ার বিপক্ষে হেরে বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া থেকে ছিটকে পড়ে মানচিনির দল। ইউরো চ্যাম্পিয়নদের বিশ্বকাপে না থাকাটা লজ্জাজনক বলে মনে করেন ইতালির সাবেক ফুটবলার রবার্তো ব্যাজিও।
ইউরোর শিরোপা জেতায় যেন কাল হয়েই দাঁড়িয়েছে ইতালির জন্য। ইউরোর পর থেকেই দুঃসময় কাটাচ্ছে রবার্তো মানচিনির দল। নর্থ মেসিডোনিয়ার বিপক্ষে অপ্রত্যাশিত হারে টানা দ্বিতীয় বিশ্বকাপে অংশ নেওয়ার স্বপ্ন ভেঙে যায় আজ্জুরিদের। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ব্যর্থতা মহাদেশীয় লড়াইয়েও দেখা গেছে। ল্যাতিন আমেরিকান চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার বিপক্ষে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে পুরো ইতালি দল।
ইউরোতে চ্যাম্পিয়নরা বিশ্বকাপে থাকবেন না এটাই মানতে পারছেন না ইতালির সাবেক ফুটবলার রবার্তো ব্যাজিও। তার মতে ইউরো চ্যাম্পিয়নদের বিশ্বকাপে অংশ না নেওয়াটা রীতিমতো লজ্জ্বাজনক। রবার্তো বলেন, “ইতালি ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশীপ জিতেছে। এটা লজ্জ্বাজনক যে ইউরোপ চ্যাম্পিয়নরা অটোমেটিকভাবে বিশ্বকাপে সুযোগ পাচ্ছে না।”
যে কোনো দলের একটা খারাপ দিন আসতেই পারে। কিন্তু এর জন্য বিশ্বকাপে তাদের অংশ না নেওয়া মানা যায় না। “যে কেউ যে কারোর বিপক্ষেই একটা খারাপ দিনে হারতে পারে। কিন্তু ছেলেরা (ইতালির ফুটবলাররা) যা অর্জন করেছে তার জন্য পুরষ্কার (বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া) প্রাপ্য। আমি এখন দলে থাকলে এটা (বিশ্বকাপে অংশ না নেওয়া) মেনে নিতে কষ্ট হতো।”
ইউরো জেতার পর দশ ম্যাচে মাত্র তিনটা জয় পেয়েছে ইতালি। প্রতিপক্ষের উপর কোনোভাবেই প্রভাব বিস্তার করতে পারছে না তারা। বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ারের ম্যাচে নর্থ মেসিডোনিয়ার বিপক্ষে হয় ছাড়া বিকল্প ছিল না ইতালির সামনে। সেই ম্যাচেই ৯২তম মিনিটে গোল হজম করে আর শোধ দিতে পারেনি আজ্জুরিরা। ফলে বিশ্বকাপে যাওয়ার সমস্ত রাস্তাও ওখানেই বন্ধ হয়ে যায় তাদের।
রবার্তো ইতালির হয়ে তিনটি বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছেন। বিশ্বকাপে খেলা ১৬ ম্যাচে নয় গোল করেছেন তিনি। ইতালির হয়ে বিশ্বকাপ আসরে সর্বোচ্চ গোল করার রেকর্ডটাও তার দখলে। আজ্জুরিদের হয়ে সব মিলিয়ে ৫৬ ম্যাচ খেলেছেন , যেখানে ২৭টি গোল রয়েছে তার নামের পাশে।
স্পোর্টসমেইল২৪/এসকেডি