দুই দলের মাঝে র্যাংকিংয়ে বিরাট ফারাক। শক্তিমত্তার দিক দিয়ে বাংলাদেশের চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে ছিল ইন্দোনেশিয়া। তবে মাঠের লড়াইয়ে দেখা গেলো ভিন্ন চিত্র। প্রতিপক্ষের একের পর এক আক্রমণ রুখে দিলেন বাংলাদেশের গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো। তার দারুণ নৈপুণ্যে শক্তিশালী ইন্দোনেশিয়াকে রুখে দিল বাংলাদেশ। প্রীতি ম্যাচে তাদের সঙ্গে গোলশয়ন্য ড্র করেছে টাইগাররা।
বুধবার (১ জুন) ইন্দোনেশিয়ার বাংদুংয়ে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমন করতে তাকে ইন্দোনেশিয়া। তবে তাদের সব আক্রমণ মুখ থুবড়ে পড়ে বাংলাদেশের গোলরক্ষক জিকোর সামনে। ম্যাচের প্রথম আক্রমণ করে ইন্দোনেশিয়া। একাদশ মিনিটে ফাসরুদ্দিনের হেড ডান দিকে ঝাঁপিয়ে আটকান জিকো।
২১তম মিনিটে আরও একবার দুর্দান্ত নৈপুন্য দেখান জিকো। এক সতীর্থের পাস ধরে বাংলাদেশের রক্ষণভাগ ছিটকে বক্সে ঢুকে যান স্টিফানো জানতজি। শরীর দিয়ে তার শটের দিক পাল্টে বাইরে পাঠান জিকো।
বাংলাদেশের সামনে প্রথম সুযোগটা আসে ম্যাচের ২৫তম মিনিটে। তবে বক্সের বাইরে থেকে রাকিব হোসেনের জোরালো শট আটকে যায় ইন্দোনেশিয়া গোলকিপারের গ্লাভসে। প্রথমার্ধে আর গোলের দেখা পায়নি কোনো দলই। দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণে আধিপত্য ধরে রাখে ইন্দোনেশিয়া।
দ্বিতীয়ার্ধে একের পর এক আক্রমণ করেও হতাশ হতে হয় ইন্দোনেশিয়ানদের। ৪৬তম মিনিটে রাসমত ইরিয়ান্তোর লক্ষ্যভ্রস্টহ শট দিয়ে শুরু। ৮৭তম মিনিটে দিমাস দ্রাজাদের হেড মিস দিয়ে শেষ। এ সময়টায় স্বাগতিকদের আটকে রেখে বাংলাদেশকে স্বস্তির ড্র এনে দেন জিকো।
ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে ড্রয়ের সুখস্মৃতি নিয়েই এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। যদিও তিন প্রতিপক্ষই ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের (১৮৮তম) চেয়ে এগিয়ে। বাহরাইন ৮৯, তুর্কমেনিস্তান ১৩৪ ও স্বাগতিক মালয়েশিয়া আছে ১৫৪ নাম্বারে।
স্পোর্টসমেইল২৪/এএইচবি