বিশ্ব ফুটবলের নির্বাহী সংস্থা ফিফার প্রতি নিজের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন সাবেক উয়েফো সভাপতি মিশেল প্লাতিনি। তাকে অভিযুক্ত করার মত কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি -সুইজারল্যান্ডের আইনজীবীরা এমন কথা বলার পরই নিষেধাজ্ঞাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানান সাবেক এ তারকা ফুটবলার।
প্লাতিনি বলেন, ‘তিনি আশা করছেন বিতর্কিত ১৮ লাখ মিলিয়ন ইউরো লেন-দেনের অভিযোগে তার উপড় দেয়া নিষেধাজ্ঞাদেশ ফিফা প্রত্যাহার করবে।’ শনিবার বার্তা সংস্থা এএফপি’কে টেলিফোনে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে প্লাতিনি বলেন, ‘আশা করছি ফিফা আমার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সৎ সাহস ও ভদ্রতা দেখাবে।
প্রায় এক দশক কাজ করার পারিশ্রমিক বাবদ ২০১১ সালে ফিফার কাছ থেকে প্লাতিনি ২ মিলিয়ন ডলার গ্রহণ করেছিলেন। তবে কোন চুক্তিপত্র ছাড়াই তিনি সে সময় এ অর্থ গ্রহণ করেছিলেন অভিযোগ এনে ফিফা প্লাতিনিকে ফুটবলের সর্বপ্রকার কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ করে। পরবর্তীতে আপিল করলে তার ওপড় চার বছরের নিষেধাজ্ঞা দেয় আদালত।
ফিফার তৎকালীন সভাপতি সেপ ব্লাটারের কাছ থেকে এ অর্থ নেন প্লাতিনি। এ ঘটনার পর ব্লাটারও এখন নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছেন।লেনদেনের বিষয়টি সুইজারল্যান্ডের আইনজীবীরা তদন্ত করছেন এবং দেশটির দৈনিক পত্রিকা লে মন্ডে শনিবার প্রকাশিত এক রিপোর্টে প্লাতিনিকে নির্দোষ হিসেবে ঘোষণা করেছেন।
সুইস সরকারের আইন কর্মকর্তার অফিস জানিয়েছে, যদিও এ পর্যন্ত প্লাতিনির বিপক্ষে অভিযোগ আনার মত কিছু পাওয়া যায়নি। তথাপি ‘তদন্ত শেষ হয়নি’। প্রসিকিউটরের এক মুখপাত্র বলেন, মামলার ক্ষেত্রে নতুন সাক্ষী পাওয়া গেলে প্লাতিনিকে একটি আদালতের সামনে হাজির করার প্রয়োজন হতে পারে।
ফুটবল প্রসাশনে যাবার আগে ফ্রান্সের হাই প্রোফাইল খেলোয়াড়দের একজন প্লাতিনি বলেন, ‘তার বিশ্বাস তিনি এখন মুক্ত। ফিফা নিষেধাজ্ঞা ওঠে যাওয়ায় আমার আইন পরামর্শক প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।’