ইউরোপ ফুটবলের মহামঞ্চ বলা হয় উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগকে। প্রতিটা লিগের শীর্ষ চারটি দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ক্লাব ফুটবলের জমজমাট এই আসরে। চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালের গুরুত্বটাও তাই বেশি। ফাইনালে দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখানো দলের হাতে শোভা পায় শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট। সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারটা পান পুরো ম্যাচে আলো ছড়ানো কেউ একজন। যিনি হয়ে ওঠেন ম্যাচের নায়ক।
সর্বশেষ ফাইনালে লিভারপুলকে হারানো ম্যাচে সবটা আলো নিজের দিকে টেনে নিয়েছেন রিয়ালের বেলজিয়ান গোলরক্ষক থিবো কর্তোয়া। ম্যাচ সেরার পুরস্কারটাও গেছে তার ঝুলিতে। কর্তোয়ার আগে সর্বশেষ ২৩ ফাইনালে আরও ২২ জন নিজেদের করে নিয়েছেন এই পুরস্কার।
গোলরক্ষক হিসেবে এই পুরস্কার পেয়েছেন মাত্র দুইজন। থিবো কর্তোয়ার আগে ২০০৭-০৮ সালের ফাইনালে ম্যাচসেরার পুরস্কার পেয়েছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ভ্যান ডার সার। ক্লাবের দিক দিয়ে আবার ম্যাচ সেরার পুরস্কার পাওয়ার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে আছে রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড়রা।
সর্বোচ্চ সাতবার ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার বাগিয়ে নিয়েছে মাদ্রিদের ক্লাবটির সৈন্যরা। দ্বিতীয় স্থানে আছে বার্সেলোনা। তাদের খেলোয়াড়রা পেয়েছেন চারবার। তিনবার গেছে বায়ার্ন মিউনিখের ঘরে।
সর্বশেষ ২৩ ফাইনালের প্রথমবার ১৯৯৯-০০ মৌসুমে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হয়েছিলেন রিয়ালের স্টিভ ম্যাকম্যানম্যান। ২০০০-০১ মৌসুমে পেয়েছিলেন বায়ার্নের অলিভার কান। পরের মৌসুমেই আবার রিয়ালের ঘরে ফিরে আসে সেটা। পেয়েছেন জিনেদিন জিদান। ২০০২-০৩ মৌসুমে পান এসি মিলানের পাওলো মালদিনি। পরের মৌসুমেই দুর্দান্ত নৌপুণ্য দেখিয়ে সেটা নিজের করে নেন পোর্তোর ডেকো।
২০০৪-০৫ সালের ফাইনালে লিভারপুলকে চ্যাম্পিয়ন করে ম্যাচসেরা হন সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক স্টিভেন জেরার্ড। পরের মৌসুমে বার্সেলোনার হয়ে প্রথম এই পুরস্কারর বাগিয়ে নেন স্যামুয়েল ইতো। ২০০৬-০৭ সালে পেয়েছিলেন এসি মিলানের ফিলিপ্পো ইনজাঘি। পরেরবার ম্যানইউর ভ্যান ডার সার।
২০০৮-০৯ মৌসুমে বার্সেলোনার হয়ে মাঝমাঠে অসাধারণ খেলে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন জাভি হার্নান্দেজ। পরের আসরগুলোতে ম্যাচসেরার পুরস্কার পান যথাক্রমে দিয়েগো মিলিতো, লিওনেল মেসি, দিদিয়ের দ্রগবা, আরিয়ান রবেন, অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া, আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা, সার্জিও রামোস, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, গ্যারেথ বেল, ভার্জিল ভ্যান ডাইক, কিংসলে কোমান, এনগোলো কান্তে এবং থিবো কর্তোয়া।
স্পোর্টসমেইল২৪/এএইচবি