চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল শুরুর কিছুক্ষণ আগে স্টেডিয়ামের বড় সাইটস্ক্রীনে ভেসে উঠে সমর্থকরা মাঠে প্রবেশ করতে না পারায় খেলা ১৫ মিনিট পর শুরু হবে। শেষ পর্যন্ত ৩৬ মিনিট দেরিতে শুরু হয় ফাইনাল ম্যাচ। মাঠে সমর্থকরা ঠিক সময়ে প্রবেশ করতে না পারায় দেরি করার সিদ্ধান্ত নেয় উয়েফা। মাঠের বাইরের ঘটনার কারণে সমর্থকদের মাঠে প্রবেশ করতে দেরি হয়েছে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন ইউরোপিয়ান গণমাধ্যম।
শনিবার (২৮ মে) ফ্রান্সের স্তাদে দি ফ্রান্সে মুখোমুখি হয়েছিল লিভারপুল এবং রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচে অলরেডদের ১-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে লস ব্ল্যাঙ্কোসরা। ম্যাচের আগে মাঠের বাইরে নানা ঘটনায় উত্তপ্ত ছিল স্টেডিয়ামের চারপাশের পরিবেশ। বিশেষ করে মাঠে প্রবেশ করা নিয়ে তৈরি হয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি।
ফাইনালের ভেন্যু স্তাদে দি ফ্রান্সের ধারণক্ষমতা ৮০ হাজার। নির্ধারিত সংখ্যক দর্শক ছাড়াও অসংখ্য টিকিটহীন দর্শক মাঠে প্রবেশ করতে চাইলেই বাঁধে বিপত্তি, পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
অনেক ফুটবল সমর্থকের দাবি ছিল, নির্ধারিত সময়ের আগে গেটে ভিড় করেও স্টেডিয়ামে ঢুকতে পারেননি তারা। এমনকি অনেকেই ভুয়া টিকিট নিয়েই মাঠে প্রবেশের চেষ্টা চালিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন।
মাঠের বাইরের এই ঘটনায় ইংলিশ ক্লাব লিভারপুলের দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “স্টেডিয়ামে ঢোকা নিয়ে যা হয়েছে তাতে আমরা হতাশ। একটা সময় নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছিল। লিভারপুল সমর্থকরা যে সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিল তা অপ্রত্যাশিত।”
এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে উয়েফা জানিয়েছে, “লিভারপুল সমর্থকরা যে গেট দিয়ে ঢোকার কথা ছিল সেখানে অনেকেই ভুয়া টিকিট থাকায় তা মেশিনে রিড করেনি। সেখানেই হট্টগোল তৈরি হয়েছিল, যাদের কাছে আসল টিকিট ছিল, তারা ঢুকতে পেরেছিলেন।”
উয়েফার বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, “খেলা শুরু হওয়ার পর অনেকে মাঠে ঢুকতে চেষ্টা করলে তাদেরকে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে মাঠে ঢুকতে বাঁধা দেওয়া হয়।”
উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল কাভার করতে যাওয়া বিভিন্ন ইউরোপিয়ান সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, প্রথমবারের মতো তারা এই রকম পরিবেশ দেখলো। এর আগে কখনোই এই রকম পরিস্থিতির তৈরি হয়নি বলেও জানিয়েছেন তারা।
শেষ পর্যন্ত লিভারপুলকে ১-০ গোলে হারিয়ে ইউরোপ সেরার মুকুট নিজেদের করে নিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। পুরো ম্যাচে লিভারপুলের আধিপত্য থাকলেও ম্যাচ নিজেদের করে নিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর