ফুটবল ক্যারিয়ারে একযুগেরও বেশি সময় স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদে কাটিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা মার্সেলো ভিয়েরা। চলতি মৌসুমের মাঝপথেই গুঞ্জন উঠেছিল, এবার রিয়াল ছাড়তে পারেন তিনি। তবে মার্সেলো জানান, এ বিষয়ে এখনি মুখ খুলতে রাজি নন তিনি। চ্যাম্পিয়নস লিগের পরই জানাবেন ভবিষ্যৎ সিদ্ধান্ত।
চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল খেলতে বর্তমানে প্যারিসে অবস্থান করেছে রিয়াল মাদ্রিদ। দলের সাথে সেখানে আছেন মার্সেলোও। চলতি বছরের ৩০ জুন রিয়ালের সঙ্গে মার্সেলোর চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে। তাই সবাই ধরেই নিয়েছে যে, ২০২২ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালই হতে পারে তার শেষ ম্যাচ।
প্যারিস রওয়ানা দেওয়ার আগে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলেন মার্সেলো। তিনি বলেন, ‘সবাই জানে যে ক্লাবের প্রতি আমার কতটা ভালোবাসা ও আবেগ। আমি প্রায় পুরো ক্যারিয়ারই এখানে কাটিয়েছি। তাই সিদ্ধান্তটা ভেবে নিতে হচ্ছে।’
‘ফ্লুমিনেন্স আমার জীবনের জন্য ফুটবলকে লক্ষ্য হিসেবে ঠিক করে দিয়েছে। আর রিয়াল মাদ্রিদ আমাকে সবকিছু দিয়েছে। আমি এখানে কিছু বললেই গুঞ্জন বাড়বে। তাই সেটা এড়াতেই আমি চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালের পর সিদ্ধান্ত জানাবো।’ - মার্সেলো যোগ করেন।
রিয়ালের রক্ষণভাগের অন্যতম ভরসা এই তারকা আরও বলেন, ‘যাই ঘটুক না কেন, আমি মনে করি আমি ইতিমধ্যেই রিয়াল মাদ্রিদের জন্য আমার সবটাই করেছি ও দিয়েছি। বাকিটা ফাইনালের পর দেখা যাবে।’
মৌসুমের শেষ ম্যাচটা রিয়ালের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ন সেটাও জানালেন মার্সেলো। তিনি বলেন, ‘আমরা জানি এই প্রতিযোগিতাটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একটি দুর্দান্ত মৌসুম পার করেছি। আমরা ফাইনাল নিয়ে বেশ রোমাঞ্চিত। স্নায়ু চাপ থাকাটা স্বাভাবিক। ফাইনালের দিন এলেই আগ্রহটা বেড়ে যায়।’
সংবাদ সম্মেলনে মার্সেলোর পাশে বসে ছিলেন রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তি। তার সম্পর্কে বলতে গিয়ে মার্সেলো বলেন, ‘ফুটবলকে ভালোভাবে বোঝার পাশাপাশি তিনি ড্রেসিংরুমও খুব ভালোভাবে পরিচালনা করতে পারেন। এই মৌসুমে ড্রেসিংরুমে আমাদের কোনো সমস্যা হয়নি।’
২০০৭ সালের জানুয়ারিতে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্লুমিনেন্স ছেড়ে সাড়ে ছয় মিলিয়ন ইউরোতে রিয়ালে যোগ দিয়েছিলেন মার্সেলো। এরপর থেকে দীর্ঘ ১৫ বছর রিয়ালেই আছেন তিনি। এই সময়ে স্প্যানিশ ক্লাবটির হয়ে পাঁচ শতাধিক ম্যাচে মাঠে নেমেছেন তিনি।
শিরোপা জেতার দিক দিয়েও কোনো অপূর্ণতা নেই এই ব্রাজিলিয়ান তারকা। রিয়ালের হয়ে জিতেছেন ৪টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ৪টি ক্লাব বিশ্বকাপ, ৩টি উয়েফা সুপার কাপ, ৬টি লীগ শিরোপা, ২টি কোপা দেল রে এবং ৬টি স্প্যানিশ সুপার কাপ৷
স্পোর্টসমেইল২৪/এএইচবি