ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই ইনজুরি ছায়ার মতো সঙ্গী হয়ে রয়েছে আনসু ফাতির। একের পর এক ইনজুরিতে বেশিরভাগ সময় মাঠের বাইরেই কাটাতে হয়েছে এই স্প্যানিশ ফুটবলারকে। চোট কাটিয়ে ইতোমধ্যে বার্সেলোনার জার্সিতে মাঠে ফিরছেন ফাতি। এবার ডাক পেলেন জাতীয় দলের হয়েও।
সোমবার (২৩ মে) নেশনস লিগের জন্য ২৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছেন স্পেন জাতীয় দলের কোচ লুইচ এনরিকে। সেখানেই সদ্য ইনজুরি কাটিয়ে ফেরা ফাতিকে রেখেছেন তিনি। হয়তো মাঠের লড়াইয়েও দেখা যেতে পারে এই তরুণ ফুটবলারকে।
২০২০ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক হয় ফাতির। অভিষেকেই গড়েন অনন্য এক রেকর্ড। ইউক্রেনের বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচেই গোলের দেখা পেয়েছিলেন ফাতি। আর তাতেই স্পেনের হয়ে সবচেয়ে কম বয়সে আন্তর্জাতিক ফুটবলে গোল করার রেকর্ড গড়ে ফেলেন তিনি। যা এখনো অক্ষুণ্ণ।
তবে অভিষেকের পর থেকেই ইনজুরির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে ফাতির। ফলে মাঠ থেকে মাঠের বাইরেই বেশি সময় কাটাতে হয়েছে তাকে। হাঁটুর ইনজুরিতে প্রায় এক বছর বাইরে থাকার পর ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে ফিরেছিলেন ফাতি।
এরপর চলতি বছরের জানুয়ারিতে আবারও ইনজুরিতে পড়েন এই স্প্যানিশ ফুটবলার। থাই ইনজুরিতে প্রায় তিন মাস মাঠের বাইরে কাটাতে হয় তাকে। সব ঝামেলা কাটিয়ে অবশেষে মাঠে ফিরেছেন তিনি। নিজেকে পরখ করে নিতে বার্সেলোনার হয়ে পাঁচটি ম্যাচে মাঠে নেমেছেন তিনি। যদিও শুরুর একাদশে ছিলেন না।
আনসু ফাতিকে নিয়ে সতর্ক থাকার কথা বলেছেন স্পেন কোচ লুইস এনরিকে। তিনি বলেন, "আনসু ফাতি বিশেষ খেলোয়াড়। আমরা তাকে নিয়ে কোনো ঝুঁকি নিতে চাই না। সে সাম্প্রতিক সময়ে খুব বেশি খেলেনি। আমরা অনুশীলনে তার আত্মিবশ্বাস দেখতে চাই। সে (ফাতি) আমাদের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়, আমরা তাকে আবার সেরা ছন্দে দেখতে চাই।”
ফাতি ছাড়াও স্পেন দলে ডাক পেয়েছেন তারই বার্সেলোনা সতীর্থ গাভি পেজ। এছাড়া রিয়াল মাদ্রিদের মার্কো আসেনসিও ও লিভারপুলের থিয়াগো আলকান্তারাকেও স্পেন দলে ডেকেছেন লুইস এনরিকে।
চলতি বছরের ২ জুন পর্তুগালের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে নেশনস লিগের মিশন শুরু হবে স্পেনের। একই গ্রুপে অন্য দুই দল হলো চেক রিপাবলিক ও সুইজারল্যান্ড।
স্পেন দল:
গোলরক্ষক: উনাই সিমোন (আথলেতিক বিলবাও), রবের্ত সানচেস (ব্রাইটন অ্যান্ড হোভ অ্যালবিয়ন), দাভিদ রায়া (ব্রেন্টফোর্ড)
ডিফেন্ডার: ইনিগো মার্তিনেজ (আথলেতিক বিলবাও), পাও তরেস (ভিয়ারিয়াল), দানি কারভাহাল (রিয়াল মাদ্রিদ), জর্দি আলবা (বার্সেলোনা), এরিক গার্সিয়া (বার্সেলোনা), এমেরিক লাপোর্ত (ম্যানচেস্টার সিটি), সেসার আসপিলিকুয়েতা (চেলসি), মার্কোস আলোনসো (চেলসি)
মিডফিল্ডার: সের্হিও বুসকেতস (বার্সেলোনা), গাভি (বার্সেলোনা), কোকে (আতলেতিকো মাদ্রিদ), মার্কোস ইয়োরেন্তে (আতলেতিকো মাদ্রিদ), রদ্রি (ম্যানচেস্টার সিটি), থিয়াগো আলকান্তারা (লিভারপুল), কার্লোস সোলের (ভালেন্সিয়া)
ফরোয়ার্ড: আলভারো মোরাতা (ইউভেন্তুস), মার্কো আসেনসিও (রিয়াল মাদ্রিদ), রাউল দে তমাস (এস্পানিওল), দানি ওলমো (লাইপজিগ), পাবলো সারাবিয়া (স্পোর্তিং), আনসু ফাতি (বার্সেলোনা), ফেররান তরেস (বার্সেলোনা)।
স্পোর্টসমেইল২৪/এসকেডি/ এএইচবি