শেষ রাউন্ডে এসে নিষ্পত্তি হলো ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা। পুরো মৌসুমে দারুণ ফুটবল খেলা ম্যানচেস্টার সিটি লিগের শেষ ম্যাচে এসে খেই হারিয়ে বসেছিল। দুই গোল হজম করে, শিরোপা একরকম হাতছাড়াই হয়ে পড়েছিল। কিন্তু ৭৫ থেকে ৮১, এই পাঁচ মিনিটে তিন গোল করে ইতিহাদেই শিরোপা উৎসবের উপলক্ষ্য এনে দিয়েছে পেপ গার্দিওয়ালার শিষ্যরা। বিপরীতে অ্যানফিল্ডে ম্যাচ জিতেও শিরোপা জিততে না পারার আক্ষেপ করতে হলো লিভারপুলকে!
রোববার (২২ মে) ঘরের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে অ্যাস্টন ভিলাকে আতিথ্য দেয় ম্যানচেস্টার সিটি। ঘরের মাঠে ৫৪ হাজার দর্শকের সামনে শুরুতেই সিটিজেনদেরকে হতাশ করেন ব্রাজিলিয়ান ফিলিপ্পে কৌতিনহো। প্রথমার্ধে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় অ্যাস্টন ভিলা।
কিন্তু মাস্টার মাইন্ড পেপ গার্দিওয়ালার দল পিছিয়ে পড়েও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য থেকে একটুও বিচ্যুত হয়নি। ফলাফল স্বরুপ, ম্যাচের ৭৫তম মিনিটে ব্যবধান কমান জার্মান মিডফিল্ডার গুন্ডোয়ান। পরের মিনিটে ইতিহাদকে স্বস্তির গোল এনে দেন রদ্রি। তার গোলেই সমতায় ফেরে সিটিজেনরা।
পিছিয়ে থাকা সিটিজেনরা যখন সমতায় ঠিক ওই সময়ে উলভসের জালে দুই গোলে এগিয়ে ছিল লিভারপুল। অর্থাৎ, সিটি-অ্যাস্টন ভিলা ম্যাচে আর কোনো গোল না হলে চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল।
কিন্তু, ফুটবলে একটি সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেই আপনি হয়ে উঠবেন নায়ক। ২০১১-১২ মৌসুমে শেষ মুহূর্তে গোল করে দলকে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন সার্জিও আগুয়েরো। এর ১০ বছর পর এসে দলের প্রায় একই অবস্থাতে গোল করে দলকে এগিয়ে নেওয়ার কাজটি করলেন গুন্ডোয়ান। ম্যাচের ৮১তম মিনিটে স্টিভেন জেরার্ডের দলের জালে বল জড়ান এই জার্মান। শেষ পর্যন্ত এই গোলই নির্ধারণ করে দিয়েছে শিরোপা। আর শেষ রাউন্ডের ম্যাচে দুই গোল করে নায়ক বনে গেছেন গুন্ডোয়ান।
শিরোপা নির্ধারণী এই ম্যাচে পুরোটা সময় বলের দখল নিজেদের কাছে রেখেছিল ম্যানচেস্টার সিটি। দিনশেষে ফুটবল গোলের খেলা। কিন্তু সেই কাঙ্খিত গোলের দেখাটাই পাচ্ছিলেন না সিটিজেনরা। অ্যাস্টন ভিলার জালে নেওয়া ২৪ শটের মাত্র ৫ টি ছিল লক্ষ্যে। বিপরীতে সিটিজেনদের জালে মাত্র চারবার শট নিতে পেরেছিল অ্যাস্টন ভিলা। আর যে দুইটি শট লক্ষ্যে গেছে, সেই দুই শট থেকেই গোল আদায় করে নিয়েছে স্টিভেন জেরার্ডের শিষ্যরা।
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর