চলতি মৌসুমে শেষেই চেলসির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করবেন জার্মান তারকা অ্যান্তোনিও রুডিগার। তার নতুন গন্তব্য হতে যাচ্ছে স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ। চেলসির সঙ্গে রুডিগারের চুক্তি নবায়ন না করার পিছনে চেলসির সাবেক কোচ ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ডকে দায়ী করছেন সাবেক ইংলিশ ফুটবলার পল মার্সন।
ল্যাম্পার্ডের সময়কালেই চেলসির সঙ্গে ঝামেলার সূত্রাপাত শুরু হয় রুডিগারের। এরপর চেলসি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন জার্মান ডিফেন্ডার। চার বছরের জন্য রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে চুক্তি করেছেন তিনি। ২০২৬ সাল পর্যন্ত স্প্যানিশ ক্লাবটির সঙ্গে থাকবেন তিনি।
স্কাই স্পোর্টসের এক কলামে মার্সন বলেন, ‘রিয়াল মাদ্রিদের কাছে রুডিগারকে হারানো চেলসির জন্য খুবই বড় ধাক্কা ল্যাম্পার্ড যেভাবে তার (রুডিগার) সাথে আচরণ করেছিল তাতে তার মন ১৮ মাস আগেই বদলে গিয়েছিল। তাই দায়টা ল্যাম্পার্ডকেই নিতে হবে।’
‘ল্যাম্পার্ডের কোচিংয়ে তাকে সম্পূর্ণরূপে দল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। আমি মনে করি এটি রুডিগারের উপর একটি দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলেছে। তখনই তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে তিনি নতুন চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন না।’ - মার্সন যোগ করেন।
মার্সন আরও বলেন যে চেলসি যে কোনো দলের মতোই ভালো। তার বিশ্বাস ছিল এটা রুডিগারের পক্ষে থাকার জন্য যথেষ্ট ছিল। ৫৪ বছর বয়সী সাবেক ফুটবলার বলেন, ‘চেলসি রিয়াল মাদ্রিদের মতোই ভালো। আপনি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল দেখেন। তারা রিয়াল মাদ্রিদের চেয়ে অনেক উন্নত দল ছিল।’
রুডিগারকে বদলি খুঁজে বের করা যে চেলসির পক্ষে সহজ হবে না, সেটাও জানিয়ে রাখলেন মার্সন। তিনি বলেন, ‘চেলসি একজন ৭০/৮০ মিলিয়ন ইউরোর ডিফেন্ডারকে বিনামূল্যে যেতে দিচ্ছে। এখন তারা ৭০ মিলিয়ন ইউরোতে এমন কাউকে আনতে চলেছে যে রুডিগারের মতো এতো ভালো মানের হবে না।’
ঐদিকে চেলসি ছাড়ার বিষয়ে এফএ কাপের ফাইনালের পর কথা বলেছেন রুডিগার। চেলসি ছাড়লেও সম্মান ও ভালোবাসা রয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন এই তারকা। রুডিগার বলেন, ‘একটা সুযোগ ছিল (থাকার) কিন্তু আমি জিনিসের খুব গভীরে যেতে চাই না। দিনশেষে এটি উভয় পক্ষের জন্য ভালো।’
‘সব মিলিয়ে চেলসির কাছে আমি ও আমার পরিবার খুব কৃতজ্ঞ। আমি এখানে মানুষ হয়েছি। আমার বাচ্চারা এখানে জন্ম হয়েছে। লন্ডন এবং চেলসি সবসময় আমার কাছে বিশেষ কিছু হয়ে থাকবে।’
স্পোর্টসমেইল২৪/এএইচবি