চ্যাম্পিয়নস লিগের লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে আর্সেনালের সামনে সহজ সমীকরণ ছিল নিজেদের শেষ দুই ম্যাচে জয় তুলে নেওয়া। তবে সেটা হলো না। নিউক্যাসল ইউনাইটেডের কাছে ২-০ গোলের হারে আগামী মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অংশগ্রহণ শঙ্কায় ফেলে দিলো গানার্সরা। তাদের সামনে এখন আরও জটিল সমীকরণ।
বাংলাদেশ সময় সোমবার (১৬ মে) রাতে সেন্ট জেমস পার্কে ম্যাচের শুরুতেই আক্রমণ করে বসে আর্সেনাল। পাঁচ মিনিটের মাথায় গোলপোস্ট লক্ষ্য করে দুইবার শট নিলেও বল জালে জড়াতে পারেননি আর্সেনালের দুই খেলোয়াড়।
প্রথমার্ধের বাকি সময় দুই দল সমানে সমান আক্রমণ করে গেলেও গোলের দেখা পায়নি কোনো দলই। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই নিজেদের জালে বল জড়িয়ে নিউক্যাসলকে গোল উপহার দেন আর্সেনালের বেঞ্জামিন হোয়াইট। আর তাতেই আরও উজ্জীবিত হয়ে ওঠে নিউক্যাসল।
ম্যাচের বাকি সময়ও একই অবস্থা চলতে থাকলে ৮৪ মিনিটে এসে ডেডলক ভাঙেন নিউক্যাসলের ভ্রুনো গুইমারেস। মাঝমাঠ থেকে এক খেলোয়াড়ের বাড়ানো বল ধরে বক্সের মাঝামাঝি এসে ডান পায়ের দুর্দান্ত শটে ব্যবধান ২-০ করেন তিনি।
এরপর নির্ধারিত সময় পেরিয়ে আরও ছয় মিনিট খেলা হলেও ম্যাচে ফিরতে পারেনি আর্সেনাল। এই হারে পয়েন্ট টেবিলে পাঁচে নেমে গেছে গানার্সরা। তাতে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী টটেনহামকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের পথে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে মাইকেল আরতেতার দল।
আর্সেনালের চেয়ে দুই পয়েন্ট বেশি নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে টটেনহাম। মৌসুমের শেষ ম্যাচে অবনমিত হয়ে যাওয়া টেবিলের তলানির দল নরউইচ সিটির বিপক্ষে ড্র করলেই আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ নিশ্চিত হয়ে যাবে তাদের। গোল ব্যবধানেও আর্সেনালের চেয়ে অনেক এগিয়ে তারা।
অন্যদিকে, আর্সেনালের সামনে সমীকরণ কঠিন। শেষ ম্যাচে এভারটনের বিপক্ষে জয়ের পাশাপাশি তাকিয়ে থাকতে হবে নরউইচ ও টটেনহাম ম্যাচের দিকে। এই ম্যাচে টটেনহ্যাম হারলেই কেবল চ্যাম্পিয়ন্স লিগ স্বপ্ন ধরা দেবে গানার্সদের। এভারটনের বিপক্ষে ড্র হলেও ছিটকে পড়বে তারা।
আর্সেনাল কোচ আরেতেতা তো শেষই দেখে ফেলছেন, ‘নিউক্যাসল আমাদের চেয়ে দশগুণ ভালো খেলে জিতেছে। এটা খুবই হতাশাজনক। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলতে চাওয়া একটা দলের পারফরম্যান্স যে পর্যায়ের হওয়ার কথা, আমাদের পারফরম্যান্স তার ধারেকাছেরও ছিল না।’
স্পোর্টসমেইল২৪/এএইচবি