ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে নতুন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন কোচ পেপ গার্দিওলা। বৃহস্পতিবার করা এ চুক্তি মোতাবেক ২০২১ সাল পর্যন্ত সিটিতেই থাকছেন প্রিমিয়ার লিগে রেকর্ডময় একটি মৌসুম উপহার দেয়া এ স্প্যানিশ কোচ।
সদ্য সমাপ্ত ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে শিরোপা জয়ী সিটিজেনদের রেকর্ড সংখ্যক ১শ’ পয়েন্ট পাইয়ে দেয়ার এ কারিগর দলটিকে লিগ কাপের ট্রফিও এনে দিয়েছেন। ইংলিশ ফুটবলের ইতিহাসে কোন ক্লাব এর আগে প্রিমিয়ার লিগে তিন অংকের পয়েন্ট সংগ্রহ করতে পারেনি।
৪৭ বছর বয়সি এ কোচের দাবি সিটিকে নাড়িয়ে দেয়া তারুণ্য নির্ভর দলটির সঙ্গে তার গভীর সম্পর্ক রয়েছে। তারাই তাকে ইত্তিহাদ স্টেডিয়ামে থেকে যাবার জন্য উৎসাহিত করেছে।
গার্দিওলা বলেন, আমি খুবই খুশি এবং রোমঞ্চিত। এখানে কাজ করার সুযোগ পেয়ে আমি খুবই সন্তুষ্ট। আমি প্রতিদিনই খেলোয়াড়দের সঙ্গে কাজ করাটিকে উপভোগ করি। আগামী বছরগুলোতেও আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করে সেরাটা অর্জনের চেষ্টা করবো। একজন কোচ হিসেবে আপনাকে অবশ্যই খেলোয়াড়দের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকতে হবে এবং তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে হবে।
দুই বছরের জন্য চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আগে সিটিজেনদের সঙ্গে একটি মাত্র মৌসুম বাকি ছিল গার্দিওলার। নতুন চুক্তির পুরোটা যদি কাটাতে পারেন তাহলে গার্দিওলা ৫ বছর কাটাবেন সিটিতে। সেটি হবে কোন ক্লাবের কোচ হিসেবে তার সবচেয়ে দীর্ঘ সময় কাটানো। বার্সেলোনা ও বায়ার্ন মিউনিখেও তিনি এত দীর্ঘ সময় তিনি কাটাননি।
চার মৌসুম কাটিয়েই বার্সেলোনা ছেড়েছিলেন গার্দিওলা। ২০১৬ সালে সিটিতে যোগ দেয়ার আগে তিনি আরও তিন মৌসুম পার করেছেন জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখে। অবশ্য চলতি মৌসুমের দ্বিতীয়ভাগের সময় গার্দিওলা জানিয়েছিলেন যে, আগামী গ্রীষ্মের আগে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে কোন আলোচনা করতে চাননা তিনি।
প্রিমিয়ার লিগে নিজেদের শেষ ম্যাচে সাউদাম্পটনের বিপক্ষে ১-০ গোলের জয় নিয়েই ১০০ পয়েন্ট সংগ্রহের মাইলফলকে পৌছে যায় সিটি। এর পরপরই তাকে রেখে দেয়ার বিষয়ে সুবজ সংকেত আসে ক্লাবের মালিক আবুধাবীর ধনকুবেরের কাছ থেকে।
এবারের প্রিমিয়ার লিগে সিটি সর্বমোট গোল করেছে ১০৬টি এবং জয় পেয়েছে ৩২টি ম্যাচে। এই দুটি পরিসংখ্যানও লিগের নুতন রেকর্ড। ক্লাবের চেয়ারম্যান খালাদুন আল মুবারক গার্দিওলার এই সামর্থ্যকে অভিবাদন জানান। কারণ তিনিই প্রতিষ্ঠিত তারকা এবং উদীয়মান মেধাবীদের নিয়ে একটি ঐক্যবদ্ধ দল গঠন করেছেন।
ক্লাব প্রধান বলেছেন, ‘মাত্র দুই বছর ক্লাবে থেকেই তিনি দলের মধ্যে একটি জাগরন সৃষ্টি করতে পেরেছেন। মাঠে এবং মাঠের বাইরে দুই জায়গাতেই তিনি দৃশ্যমান পরিবর্তন সাধিত করতে পেরেছেন।’