সবশেষ ২০০১ সালে হোসে মরিনহোর অধীনে ইতালিয়ান কাপের শিরোপা জিতেছিল ইন্টার মিলান। এরপর প্রায় ১ যুগ হয়ে গেল সাফল্যের মুখ দেখেনি তারা। অবশেষে ১১ বছর পর ঘুচলো তাদের শিরোপা খরা। জুভেন্টাসকে ৪-২ গোলে হারিয়ে আবারও ইতালিয়ান কাপের মুকুট নিজেদের করে নিলো ইন্টার।
বাংলাদেশ সময় বুধবার (১১ মে) রাতে রোমের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই নিজেদের দাপট দেখাতে থাকে ইন্টার। ষষ্ঠ মিনিটেই এগিয়ে যায় দলটি। মাঠের বাঁ দিক থেকে কাট করে বল নিয়ে ভিতরে ঢুকে বুলেট গতির শটে জাল খুঁজে নেন ইতালিয়ান মিডফিল্ডার নিকোলো বারেল্লা।
গোল খেয়ে আহত বাঘের মতো জেগে ওঠে জুভেন্টাস। আক্রমণাত্মক ফুটবলে প্রবলভাবে চেপে ধরে ইন্টারকে। তাতে ম্যাচের ২৩তম মিনিটেই সমতা ফিরিয়ে ফেলেছিল দলটি। তবে পাওলো দিবালার শট ঠেকিয়ে ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়নদের ত্রাতা হয়ে দাঁড়ান গোলরক্ষক সামির হান্দানোভিচ।
বিরতির পর দেখা দেখা গেল জুভেন্টাসের ঝলক। মাত্র ৫ মিনিটের ব্যবধানে দুই গোলে এগিয়ে যায় তারা। ৫০তম মিনিটে প্রথম গোলে জুভেন্টাসকে সমতায় ফেরান আলেক্স সান্দ্রো। দুই মিনিট পর ইন্টার গোলরক্ষকের নিদারুণ ব্যর্থতায় দলকে এগিয়ে নেন ডুসান ভ্লাহোভিচ।
ম্যাচজুড়ে তখন উত্তেজনার ছড়াছড়ি। এর মাঝেই ৮০তম মিনিটে লাউতারো মার্টিনেসকে ফাউল করে বসেন দুই জুভ ডিফেন্ডার লিওনার্দো বোনুচ্চি ও ডি লিখট। দেরি না করে পেনাল্টির বাশি বাজিয়ে উত্তেজনার পারদে বারুদ ঢেলে দেন রেফারি। স্পট কিক থেকে স্কোর ২-২ করেন হাকান কানহানোগ্লু।
নির্ধারিত সময়ে স্কোর সমতায় থাকায় খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। যোগ করা সময়ের ৯৯তম মিনিটে স্টেফান ডি ভ্রেইকে ফাউল করেন ডি লিখট। ভিএআরের সাহায্য নিয়ে পেনাল্টি দেন রেফারি। আরেকটি সফল স্পট কিক থেকে ইন্টারকে এগিয়ে নেন ইভান পেরিসিচ।
১০২ মিনিটের মাথায় জুভেন্টাসের শেষ আশাটাও নাই করে দেন পেরিসিচ। ডান পায়ে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দ্রুত গতিতে ঢুকে যান জুভেন্টাসের ডি-বক্সে। এরপর বাম পায়ের বুলেট গতির শটে ১১ বছর পর নিশিচত করেন ইন্টারের শিরোপা।
এ নিয়ে ইতালিয়ান কাপে ইন্টারের শিরোপার সংখ্যা হলো আট। তাদের চেয়ে বেশি ইতালিয়ান কাপের শিরোপা জিতেছে কেবল রোমা ও জুভেন্টাস। জুভেন্টাসের শিরোপার সংখ্যা ১৪টি। রোমার শিরোপা ৯টি।
স্পোর্টসমেইল২৪/এএইচবি