২০২১ সালের এপ্রিলে ইউরোপিয়ান সুপার লিগ নামে একটি নতুন টুর্নামেন্ট আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইউরোপের ১২ বনেদি ক্লাব। এই ঘোষণার পর তোলপাড় তৈরি হয়েছিল পুরো ফুটবল বিশ্বে। তবে সমর্থকদের চাপে শেষ পর্যন্ত এই ঘোষণা থেকে সরে আসে আয়োজক ৯ ক্লাব। এই ঘটনার পরও এখন পর্যন্ত নিজেদের সিদ্ধান্তে অটল আছে রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা এবং জুভেন্টাস। তারা এখনও এই টুর্নামেন্ট আয়োজনে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এই টুর্নামেন্ট আর আয়োজন করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে উয়েফা সভাপতি আলেজান্ডার সেফারিন।
২০২১ সালের এপ্রিলই হঠাৎই সুপার লিগ আয়োজনের ঘোষণা দেয় ইউরোপের ১২ ক্লাব। সেগুলো হলো- রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা, অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ, জুভেন্টাস, এসি মিলান, ইন্টার মিলান, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, ম্যানচেস্টার সিটি, লিভারপুল, চেলসি, আর্সেনাল এবং টটেনহ্যাম।
এই ঘোষণার পর উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ নিয়ে তৈরি হয় শঙ্কা। তবে সেই সময় ফুটবল সমর্থকদের চাপের মুখে পড়ে রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা এবং জুভেন্টাস ছাড়া বাকি ক্লাবগুলো নিজেদেরকে টুর্নামেন্ট থেকে প্রত্যাহার করে নেয়। এমনকি ক্লাবগুলো নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে না নিলে শাস্তির ঘোষণা দেয় উয়েফা। যদিও শেষ পর্যন্ত সেই শাস্তি এখনও দিতে পারেনি ইউরোপিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
সমর্থকদের চাপে মাঠে না গড়ালেও এই টুর্নামেন্ট আয়োজনে এখনও বদ্ধ পরিকর রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা এবং জুভেন্টাস। এই তিন ক্লাবের সুপার লিগ আয়োজনের সব পথ রুদ্ধ হয়ে গেছে বলে মনে করেন উয়েফা সভাপতি।
তিনি বলেন, “সুপার লিগ প্রকল্প শেষ। এটা অন্তত ২০ বছরের জন্য মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে নে। এমনকি সারাজীবনের জন্য এর অস্তিত্ব শেষ বলেও ধরে নেওয়া যায়।”
তিনি আরও বলেন, “শেষ পর্যন্ত কি হবে সেটা বলা যাচ্ছে না। তবে অন্তত আমার চোখে কোনো সম্ভাবনা নেই।”
সুপার লিগ কাণ্ডের পরই নড়েচড়ে বসেছে উয়েফা। চ্যাম্পিয়নস লিগ দল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত চিন্তাভাবনা শুরু করেছিল সংস্থাটি। শেষ পর্যন্ত দল সংখ্যা এবং কাঠামোতেও বদল এনেছে উয়েফা।
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর