লিভারপুল ক্যারিয়ারে দুর্দান্ত সময় কাটাচ্ছেন সেনেগাল ফরোয়ার্ড সাদিও মানে। ইংলিশ ক্লাবটিতে ক্যারিয়ার শুরু করার পর থেকেই বেশ উজ্জ্বল লিভারপুল তারকা। মানের পায়ের জাদুতে মুগ্ধ লিভারপুল কোচ জার্গেন ক্লপও। তার মতে, মানে বিশ্বমানের খেলোয়াড়, একটি গোল মেশিন।
এমনিতে বেশ শান্ত স্বভাবের মানে। তবে মাঠে নামলেই বিধ্বংসী রুপ ধারন করেন ৩০ বছর বয়সী সেনেগাল তারকা। লিভারপুলের পুনরুত্থানের পিছনে বিশাল অবদান এই ফরোয়ার্ডের। ২০১৯ সালে লিভারপুলের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতাতে মূল ভূমিকাটা মানেই পালন করেছেন।
২০১৯-২০ মৌসুমে দীর্ঘ ৩০ বছর পর নিজেদের প্রথম প্রথম ইংলিশ প্রিমিযার লিগ শিরোপা জিতে অল রেডরা। সেখানেও মানে নিজেকে চিনিয়েছেন আলাদাভাবে। চলতি মৌসুমেও শিরোপার লড়াইয়ে ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে সমানে দৌড়ে চলছে তারা। যাতে প্রতি ম্যাচ অবদান রেখে চলছেন মানে।
নিজেদের সবশেষ ম্যাচে মঙ্গলবার (১০ মে) অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে ২-১ গোলের জয় পেয়েছে লিভারপুল। এই ম্যাচে দ্বিতীয়ার্ধে মানের গোলেই তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠে ছাড়তে পেরেছে ক্লপের শিষ্যরা। ম্যাচ বাঁচানো গোলের পর আরেকবার সেনেগাল শিষ্যকে প্রশংসায় ভাসালেন জার্মান কোচ।
ক্লপ বলেন, ‘সে (মানে) একটি মেশিন। আমি খেলার পরে তাকে বলেছিলাম যে, সে একজন বিশ্বমানের খেলোয়াড়। তার স্ট্যামিনা, কৌশল, ইচ্ছা - এই তিনের মিশ্রণে কি হয় সেটা আপনি তার পায়ে বল গেলে দেখতে পাবেন। তার গোলগুলো টপ ক্লাস, সে একজন দুর্দান্ত বিশ্বমানের খেলোয়াড়।’
ম্যাচ জেতানো পারফরম্যান্সের পর মানে বলেন, ‘সত্যি বলতে আমি খুব খুশি। আমি শুধু প্রতিটা মুহূর্ত উপভোগ করার এবং আমার সতীর্থদের সাহায্য করার চেষ্টা করছি। আমার সতীর্থদের ছাড়া আমি কিছুই না।’
লুইজ দিয়াজের সঙ্গে বোঝাপড়া সম্পর্কে মানে বলেন, ‘প্রতিদিনের অনুশীলন থেকেই আমরা একে অপরকে ভালভাবে চিনি। যখন সে বল পায়, তখন আমি জানতাম যে সে ক্রস করতে চলেছে। তাই আমিও দেরী না করে এটির জন্য প্রস্তুত হয়ে যাই।’
২০১৬ সালের জুন মাসে সাউদাম্পটন থেকে ৩৪ মিলিয়ন ইউরোতে লিভারপুলে যোগ দেন মানে। লিভারপুলে এ পর্যন্ত সব ধরণের প্রতিযোগিতায মিলিয়ে ম্যাচ খেলেছেন ২৬৬টি। তাতে গোল করেছেন ১১৯টি। চলতি মৌসুমে ৪৮টি ম্যাচে মানের গোল ২২টি। যার মধ্যে প্রিমিয়ার লিগে ৩৩ ম্যাচে গোল ১৫টি।
স্পোর্টসমেইল২৪/এএইচবি