চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমি-ফাইনালের প্রথম লেগে লিভারপুলের ঘরের মাঠে ২-০ গোলে হেরেছিল স্প্যানিশ ক্লাব ভিয়ারিয়াল। দ্বিতীয় লেগের প্রথমার্ধের ঘুরের দাঁড়ানোর আভাস দিয়েছিল স্প্যানিশ ক্লাবটি। এমনকি ২-০ গোলে এগিয়েও গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয়ার্ধের তিন গোল হজম করে থামতে হলো সেমি-ফাইনালেই। দুই লেগ মিলিয়ে ৫-২ গোলের জয় নিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ইংলিশ জায়ান্টরা।
মঙ্গলবার (৩ মে) রাতে সেমি-ফাইনালের দ্বিতীয় লেগের ভিয়ারিয়ালের মাঠে খেলতে নামে লিভারপুল। ম্যাচের তৃতীয় মিনিটের মাথায় বোলায়ে দিয়ার গোলে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা।
প্রথমার্ধের শেষদিকে আরও একটি গোল হজম করে লিভারপুল। এতে ২-০ গোলে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যায় লিভারপুল।
বিরতির আগে দুইদল সমানে সমান লড়াই করছিল। তবে বিরতি থেকে ফিরেই যেন বদলে যায় খেলার গতিপথ। বিরতির পর স্বাগতিকদের উপর ছড়ি ঘোরাতে শুরু করে ইয়ুর্গেন ক্লপের শিষ্যরা।
ম্যাচের ৬২তম মিনিটে মিশরীয় তারকা মোহাম্মদ সালাহ’র পাস ধরে স্বাগতিকদের বিপক্ষে লক্ষ্যভেদ করেন অলরেডদের ব্রাজিলিয়ান তারকা ফ্যাবিনহো। এই গোলেই নিশ্চিত হয় অলরেডদের ফাইনাল খেলা। কারণ দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েছিল দলটি।
তবে এতেই সন্তুষ্ট হয়নি ইয়ুর্গেন ক্লপের শিষ্যরা। ফাবিনহোর গোলের চার মিনিট পর স্কোরশিটে নাম তোলেন কলম্বিয়ান লুইস দিয়াজ। আর এই গোলে ম্যাচে সমতায় ফেরে।
ম্যাচের ৭২তম মিনিটে সাদিও মানেকে আটকাতে গোলবার ছেড়ে সামনে চলে আসেন ভিয়ারিয়াল গোলরক্ষক রুলি। আর এতেই সুযোগ পেয়ে যান সেনেগালের এই তারকা। ভিয়ারিয়ালের কফিনের শেষ পেরেকটি ঢুকিয়ে দেন মানে। তার গোলেই ৩-২ ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করে লিভারপুল।
শুধু ম্যাচ নিশ্চিত নয়, দুই লেগ মিলিয়ে ৫-২ ব্যবধানে জিতে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালও নিশ্চিত করেছে দলটি। এই নিয়ে সর্বশেষ পাঁচ মৌসুমে তিনবার ইউরোপ সেরার আসরে ফাইনালে খেলবে দলটি।
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর