গ্যারেথ বেলের জোড়া গোলে শনিবার সেল্টা ভিগোকে ৬-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে রিয়াল মাদ্রিদ। এর ফলে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে মূল একাদশে বেলের অন্তর্ভূক্তি নিয়ে নতুন করে চিন্তা করতেই হচ্ছে মাদ্রিদ বস জিনেদিন জিদানকে।
গোঁড়ালির ইনজুরির কারণে কালও মাঠের বাইরে ছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। সেই সুযোগ ওয়েলস তারকা বেল নিজেকে মেলে ধরেন। প্রথমার্ধে তার দুই গোল ও ইসকোর গোলে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। যে কারণে দুই সপ্তাহ পরে কিয়েভে লিভারপুলের বিপক্ষে ইউরোপীয়ান ফাইনালের শুরুতেই বেলকে দেখা গেলে অবাক হবার কিছু থাকবে না।
সানতিয়াগো বার্নাব্যুতে ১৩ মিনিটে বেলের গোলে মাদ্রিদ এগিয়ে যায়। লুকা মোদ্রিচের থ্রু বল থেকে বেল বল জালে জড়ান। ৩০ মিনিটে অনেকটা একক প্রচেষ্টায় বেল বাম পায়ের জোড়ালো শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। মঙ্গলবার জন্মগ্রহণ করা তৃতীয় সন্তান এ্যাক্সেল চার্লসের উদ্দেশ্যে বেল তার গোল উদযাপন করেন।
ম্যাচ শেষে জিদান বলেছেন, ‘এতে এটাই প্রমাণিত হয় সকলেই উজ্জীবিত অবস্থায় আছে, একইসাথে ফাইনালের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত আছে। চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে দল বাছাই করা এখন সত্যিই কঠিন হয়ে গেল।’
৩২ মিনিটে ইসকোর গোলে মাদ্রিদ ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায়। মরোক্কান মিডফিল্ডার আচরাফ হাকিমি ৫২ মিনিটে দলের পক্ষে চতুর্থ গোলটি করেন। ৭৪ মিনিটে সার্জি গোমেজের আত্মঘাতি গোলে রিয়ালের গোলের সংখ্যা বাড়ে। অন্যদিকে সেল্টার ব্যর্থতার ষোল কলা পূর্ণ হয়। ৮১ মিনিটে জার্মান তারকা টনি ক্রুস রিয়ালকে ষষ্ঠ গোল উপহার দেন।
এই জয়ে লিগ শিরোপা নিশ্চিত করা বার্সেলোনার থেকে ১৫ ও নগর প্রতিদ্বন্দ্বী এ্যাথলেটিকোর থেকে তিন পয়েন্ট পিছিয়ে ৭৫ পয়েন্ট নিয়ে রিয়াল টেবিলের তৃতীয় স্থানেই থাকল।
এর আগে শনিবার কোকের গোলে গেতাফেকে ১-০ গোলে পরাজিত করে দ্বিতীয় স্থানে থেকে লিগ শেষ করার পথে আরও এগিয়ে গেছে এ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ। এ্যাথলেটিকো গোলরক্ষক ইয়ান ওবলাক ম্যাচের শেষের দিকে ফায়কাল ফাজারের পেনাল্টি আটকে দিয়ে দিয়েগো সিমিয়োনের দলের জয় নিশ্চিত করেন। বুধবার মার্সেইর বিপক্ষে ইউরোপা লিগের ফাইনালের আগে অনুশীলনটাও বেশ ভালোভাবেই সেড়ে নিল এ্যাথলেটিকো।
স্থানীয় ডার্বিতে এ্যাথলেটিকোর শুরুটাও ছিল বেশ আগ্রাসী। এন্টোনিও গ্রিজম্যানের পাস থেকে আট মিনিটেই কোক লো শটে সফরকারীদের এগিয়ে দেন। এটি ছিল মৌসুমে কোকের চতুর্থ গোল। ৭৭ মিনিটে ফাজারের স্পট কিক মিসের কারনে গেতাফে সেভিয়ার থেকে মাত্র দুই পয়েন্ট পিছিয়ে থেকে ইউরোপা লিগে খেলা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। যদিও সিমিয়োনে স্বীকার করেছেন গেতাফের বিপক্ষে ম্যাচের তুলনায় মার্সেইর ম্যাচটি সম্পূর্ণ ভিন্ন হবে।
আর্জেন্টাইন এই কোচ ম্যাচ শেষে বলেছেন, ‘আমরা এমন একটি দলের বিপক্ষে খেলতে নামছি যারা বেশ উজ্জীবিত, তাদের দলে বেশ কয়েকজন আগ্রাসী খেলোয়াড় রয়েছেন। কৌশলগত ভাবেও তারা বেশ শক্তিশালী।’
রিয়াল বেটিসকে হারিয়ে শীর্ষ সাতে থেকে লিগ শেষ করার সুযোগ নষ্ট করেছে সেভিয়া। ৯ মিনিট আগে লোরেন মোরোনের গোলের বেটিস সমতা ফেরালে শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র হয়। এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা সেভিয়ার ইউরোপা লিগে খেলতে হলে আগামী সপ্তাহে আলাভেসকে পরাজিত করতেই হবে।