লিভারপুলের তারকা মোহামেদ সালাহকে পিছনে ফেলে ইউরোপীয়ান ফুটবলে এবারের মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলের পুরস্কার ‘গোল্ডেন শু’ পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে গেছেন বার্সেলোনার সুপারস্টার লিওনেল মেসি। যদিও মাত্র মাসখানেক আগে ইউরোপের সব প্রতিদ্বন্দ্বীকে পিছনে ফেলে এ পুরস্কার প্রাপ্তিতে সালাহই ফেবারিট ছিলেন। তবে মার্চের শেষে লিভারপুলের এ মিশরীয় তারকা প্রিমিয়ার লিগে মাত্র তিন গোল করে পিছিয়ে গেছেন। অন্যদিকে এ সময়ে মেসি লা লিগায় গোল করেছেন ৮টি।
ঘরোয়া লিগে সর্বমোট ৩৪ গোল করে মেসি সালাহ’র থেকে তিন গোল এগিয়ে রয়েছেন। সালাহ’র হাতে রয়েছে আর মাত্র একটি ম্যাচ। রোববার ঘরের মাঠ অ্যানফিল্ডে লিগে এ মৌসুমের শেষ প্রিমিয়ার লিগ ম্যাচ লিভারপুল ব্রাইটনকে আতিথ্য দেবে। অন্যদিকে লা লিগা শেষ করতে বার্সেলোনার হাতে এখনো দুটি ম্যাচ বাকি আছে। সোমবার লেভান্তের বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচের এক সপ্তাহ পরে শেষ ম্যাচে ক্যাম্প ন্যুতে রিয়াল সোসিয়েদাদকে আতিথ্য দেবে কাতালান জায়ান্টরা।
গোল্ডেন শু টেবিলে মূলত গোলের সংখ্যার থেকে পয়েন্টই গুরুত্বপূর্ণ। ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে গোল করলে দুই পয়েন্ট যোগ হয়। এবারের মৌসুমে বেনফিকার হয়ে লিগে জোনাস ৩৩টি গোল করেছেন। কিন্তু পর্তুগীজ লিগে গোল করলে ঐ খেলোয়াড়েরর নামের পাশে দেড় পয়েন্ট যোগ হয়। যে কারণে তালিকায় জোনাসের অবস্থান নবম। ২৯টি করে গোল করে ৫৮ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে যৌথভাবে আছেন বায়ার্ন মিউনিখের রবার্ট লিওয়ানোদোস্কি ও ল্যাজিওর সিরো ইমোবিলে। প্যারিস সেইন্ট-জার্মেইর এডিনসন কাভানি, ইন্টার মিলানের মাওরো ইকার্দি ও টটেনহ্যাম হটস্পারের হ্যারি কেন করেছেন ২৮টি করে গোল।
মেসি ইতোমধ্যে এ পুরস্কার আরও চারবার অর্জন করেছেন। রিয়াল মাদ্রিদের ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোও চারবার গোল্ডেন শু পেয়েছেন, যার মধ্যে ২০০৭-০৮ মৌসুমে প্রথমবার তিনি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে এ পুরস্কার জয় করেছিলেন। এবারের মৌসুমে রোনালদো ২৫ গোল করে অষ্টম স্থানে আছেন।
২০০৮ সাল থেকে ১২ জন বিজয়ীর মধ্যে ১১ জনই ছিলেন লা লিগার। ২০১৩-১৪ মৌসুমে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে লিভারপুলের হয়ে লুইস সুয়ারেজ এ পুরস্কার অর্জন করেছিলেন।