কোয়ারেন্টাইন নিয়ম ভঙ্গ করায় মাঠেই হামলা করেছিলেন ব্রাজিলের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা। এরপর বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের দ্বিতীয় লেগে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার মধ্যকার ওই ম্যাচটি স্থগিত করা হয়েছিল। সেই ম্যাচটি পুনরায় আয়োজন করার ব্যাপারে আলোচনা শুরু হলেও বাধ সেধেছে আর্জেন্টিনা। ম্যাচটি না খেলতে আপিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে লিওনেল মেসির দেশ।
গত বছর সেপ্টেম্বরে সাও পাওলোতে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ব্রাজিলের মুখোমুখি হয়েছিল আর্জেন্টিনা। ম্যাচের ৭ মিনিটের মাথায় করোনা বিধি-নিষেধ ভাঙায় আর্জেন্টিনার চার খেলোয়াড়কে ধরতে মাঠে ঢুকে পড়েন ব্রাজিলের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা। এ সময় খেলোয়াড় ও স্বাস্থ্য সংস্থার কর্তাদের মধ্যে হাতাহাতিও হয়।
মেসি ও নেইমারের উপস্থিতেই অভূতপূর্ব ওই কাণ্ডের জন্য স্থগিত হয়ে যায় ম্যাচ। ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা-ফিফা ম্যাচটি পুনরায় খেলার নির্দেশ দিয়েছে। তবে দেশ দুটি ইতোমধ্যে কাতার বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত করায় ম্যাচটি আর খেলতে চায় না আর্জেন্টিনা। এছাড়া চলতি বছরের জুনে অস্ট্রেলিয়ায় একটি প্রীতি ম্যাচেও মুখোমুখি হবে ফুটবলের এই দুই পরাশক্তি।
এদিকে, আর্জেন্টিনার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ) ম্যাচটি না খেলতে চেয়ে আপত্তি জানালেই তা ধোপে টেকেনি। ফিফা তাদের নির্দেশ দিয়েছে, সেপ্টেম্বরেই ম্যাচটি খেলতে হবে। তবে ম্যাচের ভেন্যু বদলে যেতে পারে।
এক বিবৃতিতে ফিফা বলেছে, বিভিন্ন বাস্তবিক বিষয় তদন্তের প্রেক্ষিতে ফিফার শৃঙ্খলা কমিটি মনে করছে যে, ম্যাচটা পুনরায় খেলা উচিত। ম্যাচের তারিখ এবং ভেন্যু ফিফা ঠিক করবে। সে সময় দুই পক্ষের যার যার দায়-দায়িত্ববোধে ঘাটতি থেকেই ম্যাচ স্থগিত হয়েছিল।
ওই ঘটনায় চার আর্জেন্টাইন খেলোয়াড়কে দুই ম্যাচ করে নিষিদ্ধ করেছিল ফিফা। এছাড়া ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার ফুটবল ফেডারেশনকে যথাক্রমে ৫ লাখ ও ২ লাখ সুইস ফ্রাঁ জরিমানা করেছিল ফিফা।
কাতার বিশ্বকাপে ‘সি’ গ্রুপে আর্জেন্টিনা এবং ‘জি’ গ্রুপে পড়েছে ব্রাজিল। ‘সি’ গ্রুপে আর্জেন্টিনা তিন প্রতিপক্ষ হলো- সৌদি আরব, মেক্সিকো এবং পোল্যান্ড। এছাড়া ‘জি’ গ্রুপে থাকা ব্রাজিলের তিন প্রতিপক্ষ সার্বিয়া, সুইজারল্যান্ড এবং ক্যামেরুন।
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস