টানা ১৫ ম্যাচ অপরাজিত থাকা বার্সেলোনা, এবার হেরে বসেছে টানা দুই ম্যাচ। তাও কি-না নিজেদের ঘরের মাঠ ন্যু ক্যাম্পে। দীর্ঘ ১৯ বছর পর অনাকাঙ্খিত এই রেকর্ডের সাক্ষী হয়েছে কাতালানরা। সর্বশেষ ২০০৩ সালে নিজেদের ঘরের মাঠে টানা দুই ম্যাচ হেরেছিল দলটি।
টানা ১৫ ম্যাচ অপরাজিত থেকে উয়েফা ইউরোপা লিগের ম্যাচে মাঠে নেমেছিল বার্সেলোনা। ঘরের মাঠে ওই ম্যাচে ফ্র্যাঙ্কফুর্টের বিপক্ষে হেরে ইউরোপা লিগ থেকে বিদায় নিয়েছিল দলটি। এতে শেষ হয়েছে তাদের চলতি মৌসুমের সম্ভাব্য সব শিরোপা আশা।
ইউরোপা লিগ থেকে বিদায় নেওয়ার পর বার্সেলোনার লক্ষ্য লা লিগায় শীর্ষ চারে নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করা। তবে এই লক্ষ্যে নেমেও ব্যর্থতার মিছিলে নাম লিখিয়েছে কাতালান ক্লাবটি।
সোমবার (১৮ এপ্রিল) কাদিজের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ১-০ ব্যবধানে হেরেছে বার্সেলোনা। আর এই পরাজয়ে অনাকাঙ্খিত এক রেকর্ডেও নাম লিখিয়েছে জাভি হার্নান্দেজের শিষ্যরা। দীর্ঘ ১৯ বছর পর সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ঘরের মাঠে টানা দুই ম্যাচ হারলো কাতালানরা।
২০০৩ সালের এপ্রিলে লা লিগায় দেপোর্তিভো লা করুনার বিপক্ষে ৪-২ ব্যবধানে হেরেছিল বার্সেলোনা। এই ম্যাচের চ্যাম্পিয়নস লিগেও হারের মুখ দেখে দলটি। ইউরোপ সেরার লড়াইয়ে সেবার জুভেন্টাসের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে হেরেছিল কাতালানরা।
আগামী ২০২২-২৩ মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজেদের জায়গা পাকাপোক্ত করার জন্য বার্সেলোনাকে থাকতে হবে লিগ টেবিলের শীর্ষ চারে। আর এই জায়গা নিজেদের করে নেওয়ার জন্য লা লিগায় বাকি থাকা সবগুলো ম্যাচেই জয়ের কোনো বিকল্প নেই দলটির সামনে। এই অবস্থায় কাদিচের বিপক্ষে হোঁচট খেয়ে যারপরানাই হতাশ কোচ জাভি হার্নান্দেজ।
তিনি বলেন, “আমরা একটা ফাইনাল হেরেছি। তবে আমরা আমাদের হাতে আরও সাতটা ম্যাচ আছে। আগামী মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগে আমাদের জায়গা করে নিতেই হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের কি ভুল হচ্ছে, সেটা বের করতে হবে। আত্মসমালোচনা করতে হবে। আমাদের ওপর থেকে যত দ্রুত সম্ভব এই নেতিবাচক প্রভাবটা সরাতে হবে। প্রত্যেকটা ম্যাচই এখন ফাইনাল। আর এই ম্যাচটা আমরা ফাইনালের মত খেলিনি। জেতার জন্য আমাদের আরও বেশি চেষ্টা করতে হবে।”
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর