লড়াইটা লিগ ওয়ানের শীর্ষ দুই দলের। লড়াইও হলো জমজমাট। কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। এমন লড়াইয়ে নেইমার ও কিলিয়ান এমবাপের গোলে মার্সেইকে ২-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে শীর্ষস্থান আরও মজবুত করলো প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)।
বাংলাদেশ সময় রোববার (১৭ এপ্রিল) দিবাগত রাতে ঘরের মাঠে ম্যাচের শুরু থেকেই নিজেদের চেনা রূপে হাজির হয় প্যারিসের জায়ান্টরা। ম্যাচের দ্বাদশ মিনিটে প্রথম ভালো সুযোগ পায় পিএসজি। সেটা কাজে লাগাতে একটুও ভুল করেননি ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার।
মাঝমাঠের কাছাকাছি জায়গা থেকে নেইমারকে লক্ষ্য করে বল উড়িয়ে দিয়েছিলেন মার্কো ভেরাত্তি। ডি-বক্সে দাঁড়ানো নেইমার প্রথম চিপে বল নিজের আয়ত্তে নিয়েই দুর্দান্ত শটে কাঁপিয়ে দেন মার্সেইয়ের জাল।
এ নিয়ে লিগ ওয়ানে নিজের খেলা সবশেষ তিন ম্যাচেই গোল পেলেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। তিন ম্যাচে তার গোল হলো ৬টি। ক্লেহমোঁর বিপক্ষে হ্যাটট্রিকের আগে লরিয়েন্টের বিপক্ষেও গোল করেছিলেন দুটি।
নেইমারের গোলের পর আরও দুটি ভালো সুযোগ পেয়েছিল ফরাসি ক্লাবটি। অষ্টাদশ মিনিটে দানিলো পেরেইরার পাসে বল বাইরে মারেন এমবাপে। একটু পরই ডি-বক্সের সামনে থেকে লিওনেল মেসির ফ্রি-কিক উড়ে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে।
পিএসজির আক্রমণের ফাঁকেই ৩১তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণ করে বসে মার্সেই। তাতে সমতায় ফেরে তারা। কর্নার থেকে উড়ে আসা বল ক্লিয়ার করতে পারেননি পিএসজির ডিফেন্ডাররাও। জটলার মধ্যে থেকে বল পেয়ে আলতো টাচে দলকে সমতায় ফেরান কালেতা কার।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে নেইমারের শট ডি-বক্সে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারের হাতে লাগলে পেনাল্টির জোরালো আবেদন করেন পিএসজি খেলোয়াড়রা। কিন্তু পেনাল্টি দিতে গড়িমসি করেন রেফারি। সিদ্ধান্ত যায় ভিএআরের কাছে। তাতে পেনাল্টি পায় পিএসজি।
৫০ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি থেকে দলকে এগিয়ে নেন এমবাপে। এ নিয়ে চলতি লিগ ওয়ানে ২৯ ম্যাচে এমবাপের গোল হলো ২১টি। সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করেছেন এই ফরোয়ার্ড।
এই জয়ের ফলে লিগ ওয়ানে মার্সেইয়ের থেকে ১৫ পয়েন্ট ব্যবধানে এগিয়ে গেলো পিএসজি। ৩২ ম্যাচে ২৩ জয় ও ৫ ড্রতে পিএসজির পয়েন্ট ৭৪। সমান ম্যাচে ৫৯ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে মার্সেই।
স্পোর্টসমেইল২৪/এএইচবি