লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধে তিন গোল দিয়ে ফাইনালে এক পা রেখে বিরতিতে গিয়েছিল লিভারপুল। বিরতি থেকে ফিরে দুই গোল শোধ দিয়ে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা ম্যানচেস্টার সিটির। শেষমেশ প্রাণান্ত চেষ্টার পর ম্যাচে ফিরতে না পেরে এফএ কাপের সেমিফাইনাল থেকেই বিদায় নিতে হলো সিটিজেনদের। আর কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপের অধীনে প্রথমবারের মতো এফএ কাপের ফাইনালে নাম লেখালো লিভারপুল।
শনিবার (১৬ এপ্রিল) লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে এফএ কাপের সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দুই দল ম্যানচেস্টার সিটি এবং লিভারপুল। এই ম্যাচের প্রতি পরদে পরদে থাকবে উত্তেজনা এটাই ছিল সবার কাম্য।
ম্যাচে দুই দল কিছু বুঝে উঠার আগেই এগিয়ে যায় লিভারপুল। ম্যাচের ৯ম মিনিটে পাওয়ার কর্ণার থেকে দলকে এগিয়ে নেন লিভারপুলের ইব্রাহিম কোনেতা। ম্যাচে ফেরার চেষ্টায় নিজেদের গুছিয়ে নেওয়ার চেষ্টায় ব্যস্ত সিটিজেনরা আবারও পিছিয়ে পড়ে।
জ্যাক স্টেফেন ব্যাকপাসে বল পেলে সেই বল ক্লিয়ার না করায় স্লাইড করে বল জালে ঢুকিয়ে দেন সাদিও মানে। এতেই ২-০ গোলে এগিয়ে যায় লিভারপুল।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে আবারও ম্যানচেস্টার সিটির রক্ষণে হানা দেন সাদিও মানে। থিয়াগোর কাছে বল পেয়ে এক জোরালো শটে সিটিজেন গোলরক্ষককে বোকা বানান এই সেনেগাল তারকা।
এতেই ৩-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় লিভারপুল। বিরতি থেকে ফিরে গোল শোধে মরিয়া হয়ে উঠে পেপ গার্দিওয়ালার শিষ্যরা। ৪৭তম মিনিটে সফলও হয়। গ্যাব্রিয়েল জেসুসের কাছ থেকে বল থেকে গোল করে ব্যবধান কমান জ্যাক গ্রিলিশ।
এরপর একের পর এক চেষ্টা করেও ব্যবধান কমাতে পারছিলেন না সিটিজেন স্ট্রাইকাররা। এর মধ্যেই দলের ব্যবধান বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ আসে অলরেডদের সামনে। এই সুযোগ মিস করে বসেন সাদিও মানে।
ম্যাচের যোগ করা সময়ে লিভারপুলের রক্ষণে মুহূর্মুহূ আক্রমণ শুরু করে ম্যানসিটি। কিন্তু ততক্ষণে বেশ দেরি হয়ে গেছে। শেষ পর্যন্ত রিয়াদ মাহারেজের শট অ্যালিসন বেকার আটকে দিলে ফিরতি বল জালে জড়ান বানার্দো সিলভা। এই গোল সিটিজেনদের জন্য শুধুই হারের ব্যবধান কমিয়েছে। আর কোনো গোল না হওয়ায় ৩-২ ব্যবধানে হেরে এফএ কাপ থেকে বিদায় নিতে হয় ইংলিশ চ্যাম্পিয়নদের।
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর