প্রথম লেগে জমজমাট লড়াই হওয়ার পর দ্বিতীয় লেগ নিয়েও দর্শকের আগ্রহের কমতি ছিল না। ম্যাচের শেষার্ধের লড়াই উত্তেজনা ছড়ালো দুই দলই। অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের ঘরের মাঠেই গোলশূন্য ড্র করে তাদেরকে আটকে দিলো ম্যানচেস্টার সিটি। তাতে প্রথম লেগে ১-০ গোলের জয়ের সুবাদে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে পৌছে গেল পেপ গার্দিওয়ালার দল।
বাংলাদেশ সময় বুধবার (১৩ এপ্রিল) দিবাগত রাতে অ্যাথলেটিকোর ঘরের মাঠ ওয়ান্ডা মেট্রোপলিটনোয় ম্যাচের শুরু থেকেই দারুণ আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে ম্যানচেস্টার সিটি। ম্যাচের প্রথম সুযোগটাও পায় তারাই। তবে দশম মিনিটে ইলকাই গিনদোয়ানের কর্নারে হেড নিয়েও লক্ষ্য রাখতে পারেননি জন স্টোনস।
সুযোগ সৃষ্টি করতে আক্রমণাত্মক হয়ে খেলতে থাকে ইংলিশ জায়ান্টরা। পরের সুযোগ আসে ৩৩ মিনিটে। এবার দৃশ্যপটে গিনদোয়ান নিজেই। বক্সে বল পেয়েও জালের বদলে পোস্টে লাগিয়ে সুযোগ হেলায় হারান সিটি তারকা।।
অ্যাথলেটিকো প্রথম আক্রমণে আসে ম্যাচের ৩৫তম মিনিটে। আচমকা ২৫ গজ দূর থেকে বুলেট গতির শট নিয়েছিলেন জিওফ্রি কোন্দোগবিয়া। তাতে পা ছুইয়ে দুর্বল করে দেন কেভিন ডি ব্রুইন। ফলে ঠেকাতে কোনো সমস্যাই হয়নি সিটি গোলরক্ষক এডারসনের।
বিরতির পর নিজেদের মাঠের সর্বোচ্চ সুবিধাটা নেয় অ্যাথলেটিকো। কিছুটা শারিরীক শক্তিরও প্রদর্শন করে তারা। তাতে ৫৭ মিনিটে সবচেয়ে ভালো সুযোগটি পান অ্যান্তোনিও গ্রিজম্যান। তবে ঠিকঠাক জাল লক্ষ্য করে শট নিতে পারেননি ফরাসি তারকা।
আসল লড়াইটা দেখা যায় শেষ ১০ মিনিটে। এই সময়টায় সিটির উপর দিয়ে আক্রমণের ঢেউ বইয়ে দেয় ডিয়েগো সিমিওনের দল। অবস্থা বুঝে আক্রমণাত্মক খেলা থেকে বেরিয়ে রক্ষণাত্মক হয়ে পড়ে গার্দিওয়ালার শিষ্যরা।
৮৬ মিনিটে মাথেউস কুইয়ার শট প্রতিহত করেন স্টোনস। পরক্ষণেই স্টেফান সাভিচের নেওয়া শট চলে যায় বাইরে। ৯৬ মিনিটের সময় ম্যাচ শেষ করে দেওয়ার সুবর্ণ সুযোগ পান সিটির গিনদোয়ান। তবে তার শট ঝাঁপিয়ে রুখে দেন গোলরক্ষক ইয়ান ওবলাক।
শেষ দিকে ম্যানসিটি গোলরক্ষকের ভালোই পরীক্ষা নেয় অ্যাথলেটিকো। তবে ইয়ানিক কারাসকো ও অ্যাঞ্জেল কোররেয়ার শট রুখে দিয়ে দলকে শেষ চারের টিকেট নিশ্চিত করেন ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক এডারসন।
ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে সিটির প্রতিপক্ষ রিয়াল মাদ্রিদ। আরেক ইংলিশ ক্লাব ও গতবারের শিরোপা জয়ী চেলসিকে হারিয়ে শেষ চারে উঠেছে রেকর্ড ১৩ বারের চ্যাম্পিয়নরা।
স্পোর্টসমেইল২৪/এএইচবি