চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ চারের লড়াইয়ে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরে ছিটকে গেছে চেলসি। ম্যাচ হারের রেশ কাটতে না কাটতেই রেফারির উপর চটেছেন চেলসির কোচ টমাস টুখেল। প্রতিপক্ষ কোচের সঙ্গে রেফারির হাসতে হাসতে কথা বলাটা সহ্য হয়নি টুখেলের। আর তাতেই ক্ষেপে গেছেন ব্লুজ বস।
ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গে রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তির সঙ্গে হাসিমুখে হাত মেলান ম্যাচের প্রধান রেফারি সিজিমন মার্সিনিয়াক। এরপর খানিক সময় আড্ডাও দেন। আনচেলত্তির সঙ্গে এই ভাব সহ্য করতে পারেননি টুখেল।
ম্যাচ শেষে টুখেল বলেন, ‘আমি মনে করি এমন সময়ে এই কাজ করা খুব খারাপ হয়েছ্যে। আমি জানি কার্লো একজন ভদ্রলোক ও ভালো লোক। কিন্তু আমি যখন ধন্যবাদ জানাতে তার কাছে যেতে চাইলাম, তখন দেখি রেফারি তার সঙ্গে জোরে জোরে হাসছেন।’
রেফারিং নিয়ে এখানেই টুখেলের অভিযোগের ফিরিস্তির শেষ নয়। দ্বিতীয়ার্ধে মার্কোস আলনাসোর হাতে বল লাগার পরও ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি হ্যান্ডবল দেননি। এ নিয়েও ক্ষোভ ঝাড়লেন টুখেল।
তিনি বলেন, ‘আপনি যদি রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে খেলেন তাহলে হয়তো আশা (নিরপেক্ষ রেফারিং) করা যায় না। আমি অনুভব করেছি যে প্রথম লেগে এবং আজকেও আমাদের বিরুদ্ধে সামান্য সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমি গোলটি দেখতে পাইনি কিন্তু গোলটি পরীক্ষা না করায় আমি খুবই হতাশ।’
‘একজন রেফারির একটি নির্দিষ্ট স্টাইল থাকে। সে অনুমতি দিক আর না দিক, আমি মনে করি তার দায়িত্বে থাকা উচিত। নিজেরই গোল পরীক্ষা করা উচিত। তাহলে তিনি এটি আরও ভালভাবে ব্যাখ্যা করতে পারবেন।’ – টুখেল যোগ করেন।
ম্যাচ হেরেও অবশ্য অনুশোচনা নেই টুখেলের। বরং বড় ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েও যে দুর্দান্তভাবে ম্যাচে ফিরেছে তার দল। তাতেই খুশি টুখেল। চেলসি কোচের মতে, এটা গর্ব করার মতো ব্যাপার।’
টুখেল বলেন, ‘এগুলো এমন ধরণের পরাজয় যা আমরা হজম করতে পারি। আমরা সেখানে আফসোস করার মতো কিছুই রাখিনি। লড়াই করেছি। এটা হওয়ার কথা ছিল না। আমাদেরই দুর্ভাগ্য। এতে আফসোস করার কিছু নেই।’
চ্যাম্পিয়নস লিগের প্রথম লেগে ৩-১ গোলে হারের পর দ্বিতীয় লেগে ৩-২ গোলের জয়ের পরও দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৪ ব্যবধানে হেরে এবারের আসর ছিটকে গেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
স্পোর্টসমেইল২৪/এএইচবি