ম্যাচের আগে কাগজে-কলমে এগিয়ে ছিল লিভারপুলই। তবে লড়াইটা চ্যাম্পিয়নস লিগ বলে কোনো দলকেই পিছিয়ে রাখার উপায় ছিল না। লড়াইটাও হলো তেমন। তাতে কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে পর্তুগিজ ক্লাব বেনফিকাকে ৩-১ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে এক পা দিয়ে রাখলো ইংলিশ জায়ান্ট লিভারপু্ল।
বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) দিবাগত রাতে পর্তুগালের লিসবনে ম্যাচের শুরু থেকেই ছন্দময় ফুটবল খেলতে থাকে লিভারপুল। শুরু থেকে বেনফিকাকে চেপে ধরে অল রেড’রা। ম্যাচের প্রথম গোলের সুযোগটাও পায় লিভারপুলই।
ম্যাচের অষ্টম মিনিটের মাথায় ব্যাকহিল নিয়েছিলেন সাদিও মানে। তার ফ্লিকে বক্সে বল খুঁজে পান মোহামেদ সালাহ। কালক্ষেপণ না করে জোরালো শট নিয়েছিলেন মিশর ফরোয়ার্ড। তবে পা দিয়ে বল ঠেকিয়ে সালাহকে হতাশ করেন বেনফিকা গোলরক্ষক।
তবে ম্যাচের ১৭তম মিনিটে আর রক্ষা হয়নি। অ্যান্ড্রু রবার্টসনের কর্নারে শূন্য ভেসে দুর্দান্ত হেডে বেনফিকার জাল কাঁপান ফরাসি ডিফেন্ডার ইব্রাহিম কোনাতে। চ্যাম্পিয়নস লিগে লিভারপুলের হয়ে এটা কোনাতের প্রথম গোল।
২৪ মিনিটে সহজ সুযোগ মিস করেন লুইজ দিয়াজ। এর দশ মিনিট পরই ইংলিশ ক্লাবটিকে আরেকটু এগিয়ে নিয়ে যান সাদিও মানে। ট্রেন্ট অ্যালেকজ্যান্ডার-আর্নল্ডের পাসে দিয়াজের হেড খুঁজে নেয় মানেকে। কাছ থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সেনেগাল তারকা।
প্রথমার্ধে আর গোল পায়নি কোনো দলই। বিরতির পর খানিকটা ঝিমিয়ে পড়ে লিভারপুল। এই সুযোগ একদমই হাতছাড়া করলো না বেনফিকা। ডি-বক্সে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে পা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হন কোনাতে। আচমকা শটে ব্যবধান কমিয়ে আনেন পিছনেই থাকা বেনফিকার দারউইন ননেস।
৮০তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিল লিভারপুল। তবে জর্ডান হেন্ডারসনের পাসে ডি-বক্সে বল পেয়েও ঠিকঠাক লক্ষ্যে রাখতে পারেননি দিয়াজ। মিনিট সাতেক পর সেই দিয়াজেই জয় নিশ্চিত করে লিভারপুল।
৮৭ মিনিটের দিকে দিয়াজের দিকে থ্রু বাড়ান কেইতা। তা দেখে খানিকটা এগিয়ে আসেন বেনফিকা গোলরক্ষক। এই সুযোগে পায়ের কারিকুরিতে কোনাকুনি শটে দলের হয়ে তিন নাম্বার গোলটি করেন কলাম্বিয়ান তারকা।
এরপর নির্ধারিত সময়ের অতিরিক্ত খেলা হলেও পরিবর্তন হয়নি স্কোর লাইন। এই জয়ের সুখস্মৃতি নিয়েই আগামী বুধবার (১৩ এপ্রিল) ঘরের মাঠ অ্যানফিল্ডে দ্বিতীয় লেগে বেনফিকার মুখোমুখি হবে অল রেড’রা।
স্পোর্টসমেইল২৪/এএইচবি