ওয়েস্ট হ্যামকে ৪-১ গোলে পরাজিত করে প্রিমিয়ার লিগের এক মৌসুমে সর্বোচ্চ পয়েন্টের রেকর্ডর আরও কাছে চলে গেল ম্যানচেস্টার সিটি। দুই সপ্তাহ আগেই অবশ্য সিটিজেনদের প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা নিশ্চিত হয়।
রোববার লন্ডন স্টেডিয়ামে ১৩ মিনিটে রাহিম স্টার্লিংয়ের এসিস্টে পিএফএ বর্ষসেরা তরুণ খেলোয়াড় লিওরে সানে সিটিজেনদের এগিয়ে দেন। ২৭ মিনিটে সাবেক সিটি ডিফেন্ডার পাবলো জাবালেটার আত্মঘাতি গোলে সিটি ব্যবধান দ্বিগুণ করে। এটি ছিল এবারের প্রিমিয়ার লিগ মৌসুমে সিটির শততম গোল। ৪২ মিনিটে অবশ্য এ্যারন ক্রেসওয়েলের ফ্রি-কিকে ওয়েস্ট হ্যাম ভালোভাবেই ম্যাচে ফিরে এসেছিল। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে গ্যাব্রিয়েল জেসুস ও ফার্নান্দিনহোর গোলে সিটির বড় জয় নিশ্চিত হয়। এ পরাজয়ে ওয়েস্ট হ্যাম রেলিগেশন জোন থেকে তিন পয়েন্ট উপরে থেকে টেবিলের ১৫তম স্থানে রয়েছে।
সিটির ১০২ গোল ২০০৯-১০ মৌসুমে এক লিগে চেলসির সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড স্পর্শ করেছে। একইসাথে ২০০৪-০৫ মৌসুমে চেলসির সংগৃহীত এক মৌসুমে সর্বোচ্চ ৯৫ পয়েন্টের থেকে সিটিজেনরা আর মাত্র দুই পয়েন্ট দূরে রয়েছে।
ম্যাচ শেষে সিটি বস পেপ গার্দিওলা বলেছেন, ‘আমরা আজকের ম্যাচে জিততে চেয়েছি কারণ আগামী সপ্তাহে আমরা যখন ঘরের মাঠে শিরোপা হাতে নেব তখন যেন আমাদের পয়েন্ট ৯৬ থাকে, যা একটি রেকর্ড।’
জো হার্টের পরিবর্তে কাল ওয়েস্ট হ্যামের গোলবার সামলানোর দায়িত্ব পড়েছিল আদ্রিয়ানের ওপর। কিন্তু এই স্প্যানিয়ার্ড নিজেকে তেমনভাবে প্রমাণ করতে পারেননি। ডেভিড সিলভার স্থানে দলে ফেরা সানে ১৩ মিনিটে সফরকারীদের এগিয়ে দিতে ভুল করেননি। তবে ২৭ মিনিটে সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে আত্মঘাতি গোলের জন্য জাবালেটাকে পুরোটাই দায়ী করা যায়।
ওয়েস্ট হ্যাম ম্যানেজার ডেভিড ময়েস বলেছেন, আমরা মোটেই নিজেদের পরিকল্পনা মত কিছুই করতে পারিনি। ম্যানচেস্টার সিটির মত দলের বিপক্ষে খেলতে গিয়ে কিছুটা সৌভাগ্যেরও প্রয়োজন রয়েছে। সেটাও আজ আমাদের ছিল না।
বিরতির ঠিক আগে ক্রেসওয়েলের কার্লিং ফ্রি-কিক ওয়েস্ট হ্যামকে স্বপ্ন দেখালেও ম্যাচ শেষে কার্যত তা কোন কাজেই আসেনি। বিরতির পরপরই আবারও গোল হজম করায় স্বাগতিক সমর্থকরা এই উচ্ছাস বেশীক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি। ৫৩ মিনিটে আবারও স্টার্লিংয়ের সহায়তায় সিটির পক্ষে তৃতীয় গোলটি করেন জেসুস। ৯ মিনিট পরে ফার্নান্দিনহো শক্তিশালী শটে দলের বড় জয় নিশ্চিত করেন। এই নিয়ে মৌসুমের ৩০তম জয় তুলে নিল ম্যানচেস্টার সিটি।