কাতার বিশ্বকাপে লাতিন অঞ্চলের বাছাইপর্বে দুর্দান্ত গতিতে ছুটছিল আর্জেন্টিনা। অবশেষে তাদের পথচলায় খানিকটা লাগাম টেনে ধরলো ইকুয়েডর। তাতে ছিটকে না পড়লেও হোঁচট খেলো লিওনেল মেসির দল। ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তের গোল করে তাদেরকে ১-১ ব্যবধানে রুখে দিলো ইকুয়েডর।
৩০ মার্চ বাংলাদেশ সময় ভোরে ইকুয়েডরের ঘরের মাঠ ইস্তাদিও মনুমেন্টাল ব্যাঙ্কো পিচিঞ্চা স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। ম্যাচের শুরু থেকেই চিরচেনা আর্জেন্টিনাকে খুজে পাওয়া যাচ্ছিল না। ছন্দময় ফুটবলের ধারাটা ধরে রাখতে পারলো না লিওনেল স্কালোনির দল।
তাতে অবশ্য গোলের সুযোগ যে তৈরী হয়নি তা নয়। ম্যাচের প্রথম সুযোগটা আসে ম্যাচের ২৪তম মিনিটের মাথায়। আর প্রথম সুযোগেই এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। মেসির পাস ধরে জুলিয়ান আলভারেজের দিকে বল বাড়ান নিকোলাস তাগলিয়াফিকো। কোনাকুনি শটে দলকে আনন্দে ভাসান আলভারেজ।
গোল খেয়ে নিজেদের রক্ষণে মনোযোগ দেয় ইকুয়েডর। সুযোগে ম্যাচের ৪১ মিনিটের মাথায় আক্রমণ করে বসে আর্জেন্টিনা। তবে এই যাত্রায় গোলরক্ষকের হাতে বল তুলে দেন নিকোলাস ওতামেন্দি। বিরতির আগমুহূর্তে ডি-বক্সে বল পেয়ে ও কাজে লাগাতে পারেননি একুয়েডরের পেরভিস এস্তুপিনান।
প্রথমার্ধে এক গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা। বিরতির পর খেলার গতিতে আরও ভাটা পড়ে আর্জেন্টিনার। এই সুযোগে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে ইকুয়েডর। ৬২তম মিনিটে বুলেট গতির শটে আর্জেন্টিনার গোলপোস্ট কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন অ্যাঞ্জেল ম্যানার।
আর্জেন্টিনার বিপদটা আসে প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে। এক গোলে এগিয়ে থেকে আর্জেন্টিনা যখন জয় নিয়ে ফেরার অপেক্ষায়। তখনই নিজেদের ডি বক্সে হাতে বল লাগিয়ে বসেন নিকোলাস। পরে ভিএআরের সহায়তা নিয়ে ইকুয়েডরকে পেনাল্টি দেন রেফারি।
স্পট কিকে প্রথম শটে ভ্যালেন্সিয়ার শট ঝাঁপিয়ে ফিরিয়ে দেন আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক জেরোনিমো রুলি। তবে বল হাতে রাখতে না পারায় ফিরতি শটেই লক্ষ্যভেদ করে দলকে সমতায় ফেরান ভালেন্সিয়া।
এই ম্যাচ ড্র হলেও কাতার বিশ্বকাপ নিশ্চিত করে ফেলেছে আর্জেন্টিনা। এ নিয়ে টানা ১০০২ দিন ও ৩১ ম্যাচ অপরাজিত রইলো আকাশী-সাদারা। ঐদিকে বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করে ফেলেছে ইকুয়েডরও। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে আর্জেন্টিনার পরের ও শেষ ম্যাচে প্রতিপক্ষ ব্রাজিল।
স্পোর্টসমেইল২৪/এএইচবি