ম্যাচটা পর্তুগালের জন্য ছিল বাঁচা-মরার লড়াই। হারলেই কাতার বিশ্বকাপ যাত্রার সমাপ্তি ঘটবে রোনালদোদের। জিতলেই সোজা বিশ্বমঞ্চে। এমন সমীকরণের লড়াইয়ে নর্থ মেসিডোনিয়াকে ২-০ গোলে হারিয়ে কাতার বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করলো পর্তুগাল।
বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) দিবাগত রাতে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ফাইনালে রূপ নেয়া ম্যাচের শুরু থেকেই নিজেদের দাপট দেখাতে থাকে পর্তুগিজরা। গ্যালারিতে গর্জন তুলেছিলেন ভক্তরা। জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে গলা মিলিয়ে আকুন্ঠ সমর্থন জুগিয়েছেন দলকে।
ম্যাচের শুরু থেকেই পর্তুগিজদের আক্রমনাত্মক খেলা দেখে রক্ষণ জমাট রেখে খেলতে থাকে নর্থ মেসিডোনিয়া। তাদের লক্ষ্য ছিল গোলপোস্ট সূরক্ষিত রাখা। এই ম্যাচে আগের চেয়েও গোছালো হয়ে খেলতে থাকে তারা।
ম্যাচের প্রথম গোলের সুযোগটি পান রোনালদো। ১৮তম মিনিটের মাথায় ডি-বক্সে বল পেয়ে দূরপাল্লার জোরালো শট নিয়েছিলেন পর্তুগিজ অধিনায়ক। তার শট পোস্ট ঘেঁষে চলে যায় বাইরে। ২৪ মিনিটে ব্রুনো ফার্নান্দেজের ক্রসে সুযোগ হারান ডিয়েগো জোতা।
পর্তুগিজদের সাড়াশি আক্রমণের জবাবে রক্ষণে ভালোই প্রতিরোধ গরে তুলেছিল নর্থ মেসিডোনিয়া। তবে ৩২ মিনিটে আর পারলো না তারা। নর্থ মেসিডোনিয়ার অধিনায়ক স্টেফান রিস্তোভস্কির ভুলে বল পেয়ে যান ফার্নান্দেজ। রোনালদোর সাথে ওয়ান টু খেলে মেসিডোনিয়ার জাল কাঁপিয়ে দেন ম্যানইউ তারকা।
এক গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় পর্তুগাল। বিরতির পর পাল্টা আক্রমণ শুরু করে মেসিডোনিয়া। তবে ভাঙ্গতে পারেনি পর্তুগালের রক্ষণ। এর মাঝেই ৬৫ মিনিটে অসাধারণ এক গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ফার্নান্দেজ।
বল নিয়ে মেসিডোনিয়ার বক্সে ঢুকে পড়েন জোতা। সুযোগসন্ধানী জোতা ক্রস বাড়ান জায়গায় দাঁড়ানো ফার্নান্দেজকে। চমৎকার হাফ ভলিতে বাকি কাজ সারেন ফার্নান্দেজ। এমন দর্শনীয় গোল চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না নর্থ মেসিডোনিয়ার গোলরক্ষকের।
এরপর চেষ্টা করলেও আর গোলের দেখা পায়নি কোনো দলই। রেফারি বাশিতে শেষ ফু দিতেই উল্লাসে মেতে ওঠে পর্তুগিজরা। এই জয়ে টানা ষষ্ঠবারের মতো বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলা নিশ্চিত করলো পর্তুগাল।
স্পোর্টসমেইল২৪/এএইচবি