ভারত এবং বাংলাদেশ দুই দলের জন্যই ম্যাচটি ছিল অঘোষিত ফাইনাল। বাংলাদেশের সামনে ছিল কঠিন সমীকরণ। শুধুই জিতলেই হবে না , কমপক্ষে দুই গোলের ব্যবধানে জিততে হবে। এমন ম্যাচে ভারতকে ১-০ ব্যবধানে হারালেও গোল ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে শিরোপা ছোয়া হলো না বাংলাদেশের মেয়েদের। সান্ত্বনার পুরস্কার হয়ে রইলো ‘জয়’।
শুক্রবার (২৫ মার্চ) ভারতের জামশেদপুর টাটা একাডেমী মাঠে ম্যাচের শুরু থেকেই আগ্রাসী ফুটবলের পসরা মেলে একের পর এক আক্রমণ শাণাতে থাকল বাংলাদেশ। ম্যাচের নবম মিনিটে আকলিমার দূরপাল্লার শট আটকে দেন ভারত গোলরক্ষক।
ম্যাচের ১৩তম মিনিটে আরও দুটি সুযোগ নষ্ট করে বাংলাদেশ। প্রথমবার বক্সের মধ্যে শামসুন্নাহারের শট ব্যর্থ হয়। দ্বিতীয়বারে আকলিমার ক্রসে বলের গতির সঙ্গে তাল মেলাতে না পেরে মিস করে বসেন মিডফিল্ডার স্বপ্না রানী।
বাংলাদেশ সবচেয়ে ভালো সুযোগটি পেয়েছিল ম্যাচের ৩০তম মিনিটে। বল নিয়ে ভারতের বক্সে ঢুকে গোলরক্ষককে একা পেয়েও বাইরে মারেন উন্নতি খাতুন। এই সুযোগটা হয়ে রইলো পুরো ম্যাচের আক্ষেপ। বিরতির আগে আর সুযোগ পায়নি বাংলার মেয়েরা।
দ্বিতীয়ার্ধে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। ৬৩তম মিনিটে আকলিমার শট এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে কর্নার হয়। এরপরই লিন্ডার শট আটকে বাংলদেশকে রক্ষা করেন রুপনা।
অবশেষে ৭৩তম মিনিটে আশার আলো ফুটে ওঠে বাংলাদেশের শিবিরে। দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে জায়গা করে নিয়ে নিখুঁতভাবে কোনাকুনি শটে লক্ষ্যভেদ করেন আকলিমা। ফিকে হয়ে যেতে বসা বাংলাদেশের শিরোপা সম্ভাবনা জেগে ওঠে নতুন করে।
গোল খেয়ে ভারত নিজেদের রক্ষণ সামলানোর দিকে জোর দেয়। যে কারণে বাকিটা সময় আক্রমণ করেও ব্যবধান বাড়াতে পারেনি বাংলার মেয়েরা। ফলাফল, জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করলেও শিরোপা নিয়ে দেশে ফিরতে না পারার আক্ষেপ রয়েই গেল গোলাম রাব্বানি ছোটনের দলের।
স্পোর্টসমেইল২৪/এএইচবি