প্রতিপক্ষের গোলবারে শটের বন্যা বসিয়ে দিয়েছিল ইতালি। তবে লক্ষ্যহীন শটে বার বার হতে হয়েছে গোল বঞ্চিত। বিপরীতে সুযোগ পেয়েই কাজে লাগিয়েছে নর্থ মেসিডোনিয়া। স্বপ্ন ছোঁয়ার পথে মেসিডোনিয়ার আরেক ধাপ এগিয়ে যাওয়ার ম্যাচে কাতার বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা হারিয়েছে ইতালি। ফলে প্রথমবারের মতো বিশ্ব আসরে টানা দুই আসরে দেখা যাবে না ইতালির ফুটবল।
নিজেদের মাঠে শুরু থেকেই বল দখলে রেখে চাপ তৈরি করে খেলেছে ইতালি। নর্থ মেসিডোনিয়াকে নিজেদের অর্ধ থেকে উপরের উঠার সুযোগই দেয়নি ইতালি। পুরো ৯০ মিনিট ইতালির আক্রমণ সামলাতেই নিজেদের ব্যস্ত রেখেছে নর্থ মেসিডোনিয়ারা। তবে ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে বাজিমান করে তারা। ৯০+২ মিনিটে গোল করে ইতালিকে কাতার বিশ্বকাপ থেকে বিদায় করে দেয় নর্থ মেসিডোনিয়া।
পুরো খেলায় ৬৬ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে চাপ তৈরি করে খেলেছে ইতালি। বিপরীতে ৩৪ শতাংশ সময় বল পাওয়া নর্থ মেসিডোনিয়া ছিল নিজেদের রক্ষায়। প্রতিপক্ষের জালে ইতালি ৩২বার শট নিয়েছিল, যার মধ্যে ছিল মাত্র ৫টি টার্গেট শট। অন্যদিকে, ৫টি শটের মধ্যে ২টি টার্গেটের একটিতেই সাফল্য পেয়ে যায় নর্থ মেসিডোনিয়া।
প্রতিপক্ষে জালে শটের বন্যা বসালেও লক্ষ্যভ্রট হওয়ায় বার বার বঞ্চিত হতে হয়েছে ইতালিকে। প্রথমার্ধে ১৫ শটের মধ্যে তিনটি টার্গেট শট ছিল, যার মধ্যে একটি বুলেট গতির শট থাকলেও গোল পায়নি দলটি।
প্রথমার্ধের ন্যায় দ্বিতীয়ার্ধেও একই ছিল ইতালির চিত্র। ৫৮তম মিনিটে ডি বক্সের কাছ থেকে শট নিলেও গোল আদায় করতে পারেননি বেরার্দি। গোলের দারুণ আরেকটি সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারিনি তারা। এরপর আরও বেশ কয়েকবার সুযোগ তৈরি করতে পারলেও গোল আদায় করতে পারেনি ইতালি।
নির্ধারতি সময় শেষে যোগ করা পাঁচ মিনিটের দ্বিতীয় মিনিটেই সাফল্যের দেখা পায় নর্থ মেসিডোনিয়া। মাঝমাঠ থেকে বল পেয়ে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে আড়আড়ি শটে গোল আদায় করেন ত্রাজকোভস্কি। উল্লাসে মাতা নর্থ মেসিডোনিয়ার বিপরীতে কাতার বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন বিলীন হয়ে যায় ইতালির।
১৯৫৮ সালে প্রথমবার ফুটবল বিশ্বকাপে খেলতে ব্যর্থ হয়েছি ২০০৬ সালে শিরোপা জয় করা দল ইতালি। সর্বশেষ সুইডেনের কাছে হেরে ২০১৮ বিশ্বকাপেও খেলতে পারেনি তারা। এবার টানা দ্বিতীয় বারের মতো বিশ্বকাপ আসরে যেতে না পারার দুঃখের সাথী হলো তারা।
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস