জাভি বার্সেলোনায় আসার পর ধুঁকতে থাকা বার্সার কানে জপে দিলেন উজ্জীবনী মন্ত্র। আর তাতেই পুরনো রূপে জেগে উঠলো কাতালানরা। অবিশ্বাস্য সুন্দর ফুটবলের পসরা সাজিয়ে বসলো তারা। এবার এল ক্লাসিকোর মহামঞ্চে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদকে গোলবন্যায় ভাসিয়ে তুলে নিলো ৪-০ গোলের বড় জয়।
বাংলাদেশ সময় সোমবার (২১ মার্চ) রিয়াল মাদ্রিদের ঘরে মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ম্যাচের শুরু থেকেই উত্তাপ ছড়াতে থাকে দুই স্প্যানিশ জায়ান্ট। প্রথম গোলের সুযোগটা আসে রিয়ালের সামনে। তবে ম্যাচের ৫ম মিনিটে ডি-বক্সে ঢুকেও বলের লক্ষ্য ঠিক রাখতে পারেননি রুদ্রিগো।
১২তম মিনিটের মাথায় পাল্টা আক্রমণ করে বসে বার্সা। তবে অবামেয়াংয়ের নেওয়া প্রথম শটটা অনায়াসে ঠেকিয়ে দেন রিয়াল গোলরক্ষক থিবো কর্তোয়া। ফিরতি বলে দেম্বেলের নেয়া শটও কোনোমতে ঠেকিয়ে রিয়ালকে রক্ষা করেন বেলজিয়ান গোলরক্ষক।
২৪তম মিনিটের মাথায় তোরেসকে হতাশ করেন এডার মিলিতাও। ঠিক ৫ মিনিট পরই বার্সার টিকিটাকার সামনে আর পেরে উঠলো না রিয়াল। ডান দিক থেকে দেম্বেলের বাড়ানো ক্রস ধরে কোনাকুনি হেডে রিয়ালের জাল খুঁজে নেন এমিরিক অবামেয়াং।
গোল পেয়ে দ্বিগুণ বলিয়ানে রিয়ালে উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে বার্সা। ৩৮ মিনিটের মাথায় ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আরাহো। দৃশ্যপটে আবারও দেম্বেলে, আবারও ক্রস এবং লাফিয়ে দারুন এক হেডে উরুগুয়াইন ডিফেন্ডারের গোল।
বিরতির আগে লড়াই চললেও গোল পায়নি কোনো দলই। বিরতির দুই মিনিট পরই রিয়ালের জালে দলীয় ‘হ্যাটট্রিক’ পূরণ করেন তোরেস। অবামেয়াংয়ের পাসে বক্সে বল পেয়ে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ম্যানচেস্টার সিটি থেকে জানুয়ারিতে বার্সায় আসা এই তরুণ।
তিন গোল খেয়ে রিয়ালের অবস্থা তখন টালমাটাল। এই সুযোগে রিয়ালের জালে চার নম্বর গোলটি দেয় জাভির শিষ্যরা। জেরার্ড পিকের বাড়ানো বল ধরে অবামেয়াংকে পাস বাড়ান তোরেস। লক্ষ্যভেদ করতে কোনো ভুলই হয়নি গ্যাবনিজ তারকার।
এরপরেও বার্সা সাড়াশি আক্রমণ করেও আরত গোলের দেখা পায়নি। অন্যদিকে চার গোল খেয়ে ছন্নছাড়া রিয়াল আর ম্যাচেই ফিরতে পারেনি। এই ম্যাচ হারলেও ২৯ ম্যাচে ২০ জয় ও ৬ ড্রতে ৬৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রিয়াল। সমান ম্যাচে ৫৭ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে সেভিয়া। ২৮ ম্যাচে ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে বার্সেলোনা।
স্পোর্টসমেইল২৪/এএইচবি