বল দখলের লড়াই কিংবা আক্রমণ, সব দিক ম্যাচে এগিয়ে ছিল জুভেন্টাস। একের পর এক আক্রমণ করে ব্যতিব্যস্ত করে তুলছে ভিয়ারিয়ালের রক্ষণভাগ। পুরো ম্যাচের এক-তৃতীয়াংশ সময় রক্ষণ আগলে রাখা ভিয়ারিয়াল শেষ অংশে উদয় হল ভুঁইফোড়ের মতো। ১৩ মিনিটের ছোট্ট ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেল জুভেন্টাস। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর ম্যাচে দ্বিতীয় লেগে ৩-০ গোলে জিতেছে ভিয়ারিয়াল।
প্রথম লেগে ভিয়ারিয়ালের ঘরের মাঠে ১-১ গোলে ড্র করে এসেছিল জুভেন্টাস। দ্বিতীয় লেগে নিজেদের ঘরের মাঠে তারাই ছিল ফেভারিট। তবে পাশার দানটা উল্টে গেল ভোজবাজির মতো।। প্রথম লেগ ১-১ ড্র হওয়ায় দুই লেগ মিলিয়ে ৪-১ গোলের জয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌছে গেল স্প্যানিশ দলটি।
বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) রাতে আলিয়াঞ্জ স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই দুর্দান্ত খেলতে থাকে জুভেন্টাস। ম্যাচের ১১তম মিনিটে প্রথম সুযোগটি পেয়েছিল তারা। তবে আলভারো মোরাতার জোরালো হেড ফিরিয়ে দেন ভিয়ারিয়াল গোলরক্ষক জেরোনিমো রুলি।
১৪ ও ২০তম মিনিটের আরও দুটি সুযোগ নষ্ট করে জুভরা। ১৪ মিনিটে ডি-বক্সে গোলের সহজ সুযোগ পেয়েও দুর্বল প্লেসিং করেন মোরাতা। এরপর কুড়ি মিনিটের সময় ভাগ্য সহায় হয়নি দুসান ভ্লাহোভিচের। তার দূরপাল্লার শট আটকে দিয়ে ভিয়ারিয়ালের ত্রাতা হয়ে দাঁড়ান রুলি।।
ভিয়ারিয়াল প্রথম সুযোগ পায় ম্যাচের ২৩তম মিনিটে। তবে বক্সের বাইরে থেকে নেয়া জোরালো শট জাল রাখতে পারেননি জিওভানি লো সেলসো। বল বেরিয়ে যায় পোস্টে চুমো খেয়ে। প্রথমার্ধে আর গোলের দেখা পায়নি কোনো দলই। বিরতির পর আক্রমণে আসে জুভেন্টাস। তবে গোল পায়নি।
ম্যাচের আসল রূপটা দেখা যায় ৭৮ মিনিট থেকে ৯০ মিনিটের সময়টুকুতে। স্রেফ তান্ডব যাকে বলে আর কি! আগে সময়টাতে জুভদের আক্রমণ ঠেকিয়ে গেলেও এবার সুযোগ বুঝে ঝাঁপিয়ে পড়ে ভিয়ারিয়াল।
ম্যাচের তখন ৭৮তম মিনিট। জুভেন্টাসের ডি-বক্সে কোকেলিনকে ফাউল করেন দানিয়েলে রুগানি। ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। পেনাল্টিতে পেয়ে স্বাগতিকদের স্তব্ধ করে দেন মরেনো। ৮৫ মিনিটে কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন স্প্যানিশ ডিফেন্ডার তোরেস।
৯১ মিনিটে তুরিনের বুড়িদের কফিনে শেষ পেরেকটা মেরে দেন দানজুমা। ডি-বক্সে জুভেন্টাসের মাটাইসের হ্যান্ডবলের সুবাদে পেনাল্টি পায় ভিয়ারিয়াল। গোল করতে কোনো ভুলই করেননি দানজুমা।
স্পোর্টসমেইল২৪/এএইচবি