ইউরোপা লিগের শেষ ষোলোর ম্যাচে প্রথম লেগে গালাতাসারাইয়ের সঙ্গে ড্রয়ের পর কিছুটা হতাশ হয়ে পড়েছিল বার্সেলোনা। হতাশা কাটাতে দরকার ছিল একটা জয়। লা লিগার ম্যাচে ফিরেই আবারও চেনা রূপে জাভি হার্নান্দেজের দল। ওসাসুনাকে ৪-০ গোলের ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়ে জয়ের ধারায় ফিরলো কাতালানরা।
বাংলাদেশ সময় সোমবার (১৪ মার্চ) রাতে ঘরের মাঠ ক্যাম্প ন্যু’তে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমনাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে বার্সা। তাতে এগিয়ে যেতে খুব বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি। ম্যাচের ১৫ মিনিটের মাথায় এগিয়ে যায় জাভির দল।
বল নিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়া গাভিকে ফেলে দিয়েছিলেন ওসাসুনার ডিফেন্ডার নাচো ভিদাল। দেরি না করে পেনাল্টির বাঁশি বাঁজিয়ে দেন রেফারি। স্পট কিক থেকে দলকে ১-০ তে এগিয়ে নেন তরুণ ফেরান তোরেস।
প্রথম গোলের রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও গোল। ম্যাচের ২১ মিনিটের মাথায় ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তোরেস। তোরেসকে ডি-বক্সের দিকে আগাতে দেখে দারুণ এক থ্রু ফেলেন উসমান দেম্বেলে। গোলরক্ষকের দুই পায়ের ফাঁক দিয়ে বল জালে জড়িয়ে সমর্থকদের উল্লাসে ভাসান স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড।
দ্বিতীয় গোলের ঠিক ছয় মিনিট আবারও গোল। এবারও দৃশ্যপটে দেম্বেলে। ক্লাবের সাথে ঝামেলায় ব্রাত্য হয়ে পড়া ফরাসি তারকাই হয়ে উঠলেন এই ম্যাচের নায়ক। ২১ মিনিটের সময় দেম্বেলের দারুণ মাপা পাসে বলের গতিপথ বুঝে দৌড়ে যান এমিরিক অবামেয়াং এবং গোল।
প্রথমার্ধেই তিন গোলে এগিয়ে যাওয়া বার্সা দ্বিতীয়ার্ধে আরও গোছালো হয়ে খেলতে থাকে। তাতে ৫১ মিনিটে গোল পেয়ে যেতে পারতেন অবামেয়াং। তবে দেম্বেলের ক্রসে নেয়া ভলি লক্ষ্যে রাখতে পারেননি গ্যাবনিজ ফরোয়ার্ড।
এরপর ৫৫ মিনিটে অফসাইডে কাটা পড়ে বার্সার জার্সিতে ৬০০তম ম্যাচ খেলতে নামা পিকের গোলটা। ৭০ মিনিটের সময় দেম্বেলের শট কর্নারের বিনিময়ে ফেরান গোলরক্ষক। তবে ৭৫তম মিনিটে আর পারেননি।
দেম্বেলের পাসে বক্সের বাইরে থেকে শট নিয়েছিলেন রিকি পুই। প্রথমবারে গোলরক্ষক আটকে দিলেও বিপদমুক্ত করতে পারেননি। পরের শটেই লক্ষ্যভেদে ব্যবধান ৪-০ করেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার।
এই জয়ে ২৭ ম্যাচে ১৪ জয় ও ৯ ড্রয়ে ৫১ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার তিনে বার্সেলোনা।। তাদের সমান পয়েন্ট নিয়েও এক ম্যাচ বেশি খেলায় চারে অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ। ২৮ ম্যাচে ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে সেভিয়া। ২৭ ম্যাচে ৬৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রিয়াল মাদ্রিদ।
স্পোর্টসমেইল২৪/এএইচবি