যুক্তরাজ্যে নিষেধাজ্ঞায় পড়েছেন চেলসি মালিক রোমান আব্রাহিমোভিচ। তাই চেলসির জন্য নতুন করে অর্থ খরচ করতে পারবেন না এই রাশিয়ান ব্যবসায়ী। এমনকি চেলসির আয়ের সব পথও বন্ধ করে দিয়েছে দেশটির সরকার। এ অবস্থায় বিভিন্ন প্রাইজমানি থেকে পাওয়া ১৩১ মিলিয়ন ইউরোই এখন চেলসির ভরসা।
যুক্তরাজ্যে রোমান আব্রাহিমোভিচ নিষিদ্ধ হওয়ায় দেশটিতে থাকা তার সব সম্পত্তি ফ্রিজ করে সরকার। এরপরেই বন্ধ হয়ে যায়, চেলসির সকল ব্যাংক একাউন্ট। শেষ পর্যন্ত বিশেষ অনুমতিতে চেলসির ব্যাংক একাউন্ট খুলে দিয়েছে যুক্তরাজ্য সরকার। তবে কোনো অর্থ খরচ করতে পারবে সেই বিষয়েও দিয়েছে নির্দেশনা।
সর্বশেষ ২০২০-২১ মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগের টিভি স্বত্ব থেকে চেলসি আয় করেছিল ৪১ মিলিয়ন ইউরো। এছাড়াও প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট তালিকার তিন নম্বরে থাকায় পেয়েছিল ৪৬ মিলিয়ন ইউরো। আর চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতে তাদের ব্যাংক একাউন্টে যুক্ত হয়েছিল ৪৩ মিলিয়ন। এই মোট ১৩১ মিলিয়ন ইউরো খরচ করতে পারবে তারা।
রোমান আব্রাহিমোভিচের উপর নিষেধাজ্ঞা আসায় চেলসির প্রতি সপ্তাহের খরচ চলবে কিভাবে তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছিল ক্লাব কর্তৃপক্ষ। এই সমস্যার সমাধানে এই উপায় বাতলে দিয়েছে দেশটির সরকার।
তবে ক্লাব চালানোর জন্য পাওয়া এই অর্থ চেলসির জন্য মোটেও পর্যাপ্ত নয়। কারণ প্রতি সপ্তাহে চেলসির খরচ প্রায় ২৮ মিলিয়ন ইউরো। এ কারণেই আবারও যুক্তরাজ্য সরকারের সাথে আলোচনায় বসবে চেলসি কর্তৃপক্ষ।
চলতি সপ্তাহে চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে লিলের মাঠে খেলতে নামবে চেলসি। এই ম্যাচের আগে যাতায়াত ভাড়ার জন্য মাত্র ২৪ হাজার ইউরো ছাড় করেছে যুক্তরাজ্য সরকার। প্রত্যেক অ্যাওয়ে ম্যাচের আগেই যাতায়াতের জন্য এই পরিমান অর্থই দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্য সরকার। তবে তারা এটা নিশ্চিত করেছে যে, চেলসি চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলে যাতায়াত ভাড়ার জন্য বরাদ্দ বাড়বে।
চেলসির এই কঠিন পরিস্থিতে রোমান আব্রাহিমোভিচের সামনে একটিই পথ খোলা আছে। আর তা হলো ক্লাব বিক্রি করে দেওয়া। ক্লাব বিক্রি করে দেওয়ার সব পথই খুলে দিয়েছে যুক্তরাজ্য সরকার। শেষ পর্যন্ত রোমান আব্রাহিমোভিচ কি করবেন, সেটাই দেখার অপেক্ষা।
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর