চ্যাম্পিয়ন লিগের প্রথম লেগে পিএসজির ঘরের মাঠে হারের পর এই ম্যাচে বরং বেশি চাপে ছিল রিয়াল মাদ্রিদই। জেতাটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল কার্লো আনচেলত্তির দলের জন্য। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে দ্বিতীয় লেগের প্রথমার্ধে কিলিয়ান এমবাপের গোলে সেই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ালো কঠিন থেকে কঠিনতর।
তবে খেলাটা ফুটবল বলেই তখনো জমা রইলো রহস্য! তাতে দ্বিতীয়ার্ধেই সব শঙ্কা উড়িয়ে দিলেন ফরাসি তারকা করিম বেনজেমা। তার ঝড়ো হ্যাটট্রিকে ৩-১ গোলের জয়ে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ ব্যবধানে তারকাসমৃদ্ধ পিএসজিকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পা রাখলো রিয়াল মাদ্রিদ।
এই ম্যাচ জিততেই হবে, এমন মনোভাব নিয়ে ম্যাচের প্রথম থেকেই প্রতিপক্ষের উপর চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করে রিয়াল মাদ্রিদ। পাঁচ মিনিটের মাথায় দুইবার পিএসজির ডি-বক্সে ঢুকে পড়লেও গোলের দেখা পায়নি তারা। দুইবারই ব্যর্থ হন স্প্যানিশ তারকা মার্কো অ্যাসেন্সিও।
দুই দলই যখন মরণপণ লড়াইয়ে মত্ত, তখন দারুণ এক সুযোগ পেয়েছিলেন বেনজেমা। দূর থেকে গোলপোস্ট লক্ষ্য করে বুলেট গতির শট নেন রিয়াল তারকা। কোনোমতে আঙুল ছুঁইয়ে সেই বল দিকভ্রষ্ট করে দেন জানলুইজি দোন্নারুমা। এই যাত্রায় রক্ষা পায় পিএসজি।
৩১তম মিনিটের মাথায় সুযোগ পেয়েছিল পিএসজিও। মেসি-নেইমারের দারুণ বোঝাপড়ায় বল নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন মেসি। তবে কোনাকুনি নেয়া শটটি লক্ষ্যে রাখতে পারেননি আর্জেন্টাইন ক্ষুদে জাদুকর।
অতঃপর ৩৯ মিনিটে এগিয়ে যায় ফরাসি জায়ান্টরা। নেইমারের বাড়ানো বল ধরে ডি-বক্সে ঢুকে কেবল খানিকটা দেখে নিলেন এমবাপে। এরপর এক ঝটকায় ডেভিড আলাবাকে ছিটকে ফেলে শট নিলেন ফরাসি তারকা। ঝাঁপিয়ে পড়েও বলের নাগাল পেলেন না কর্তোয়া।
বিরতির পর ৬১ মিনিটের মাথায় সমতায় ফেরে রিয়াল। পিএসজি গোলরক্ষক দোন্নারুমার ভুলে গোল হজম করে পিএসজি। মার্কো ভেরাত্তিকে ব্যাকপাস দিতে গিয়ে দেরি করে ফেলেন দোন্নারুমা। বাকিটা ভিনিসিয়াস জুনিয়র আর বেনজেমার কারিশমা। তাতে বেঞ্জুর গোলে ১-১ তে সমতায় ফেরে মাদ্রিদের রাজারা।
সমতা টেনে যেন নিজেদের প্রাণশক্তি ফিরে পায় আনচেলত্তির দল। আর এই সুযোগেই ৭৬ ও ৭৮তম মিনিটে দুই গোল করে নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করেন বেনজেমা। সেই সঙ্গে পিএসজিকে ছিটকে দিয়ে দলকে নিয়ে যান শেষ আটের লড়াইয়ে।
স্পোর্টসমেইল২৪/এএইচবি