বুধবার রাতে বায়ার্ন মিউনিখের মাঠে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের প্রথম লেগে আতিথ্য নেবে রিয়াল মাদ্রিদ। অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনায় জিদান বাহিনীকে বরণ করে নিতে প্রস্তুত হামেস রদ্রিগেজ। সেই রদ্রিগেজ, যাকে ঠিক দলের সঙ্গে মানায় না বলে ব্রাত্য করে রেখেছিলেন লস ব্লাঙ্কোস বস জিনেদিন জিদান!
২০১৪ বিশ্বকাপে আলো কেড়ে আলোচনায়। পরে রিয়ালের দল-বদলের ইতিহাসে তৃতীয় দামি ফুটবলার হয়ে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে পা পড়েছিল। কলম্বিয়ান মিডফিল্ডার রদ্রিগেজ সেখানে নিজেকে প্রমাণের সুযোগটাই পাননি ঠিকভাবে।
কার্লো আনচেলত্তি যতদিন রিয়ালের কোচ ছিলেন, ততদিন পর্যন্ত খেলার সুযোগ পেয়েছেন। জিদান কোচ হয়ে আসার পর থেকেই কপাল পোড়া শুরু রদ্রিগেজের। ফরাসি কোচের অধীনে দুই মৌসুম মিলিয়ে ৬৫ ম্যাচ খেলেছেন ঠিকই, যার বেশিরভাগই পরিবর্তিত খেলোয়াড় হয়ে। মূল একাদশে যখনই সুযোগ পেয়েছেন, প্রায় সময়ই উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে আগেভাগেই। এই দুই মৌসুমে মোট ১৭টি গোল এসেছে তার থেকে।
জিদানের অধীনে ব্রাত্য থাকতে থাকতে এক সময় বিরক্ত হয়ে উঠলেন। ক্যারিয়ার বাঁচাতে সিদ্ধান্ত নিলেন স্পেন ছাড়ার। চলতি মৌসুমে ধারে চলে যান রিয়াল থেকে। চাকরীচ্যুত আনচেলত্তির ক্লাব বায়ার্নেই গন্তব্য। সেখানে সুযোগ পেলেন নিয়মিত একাদশে খেলার। পারফর্মও করেছেন কলম্বিয়ান তারকা।
সুযোগের পূর্ণ ব্যবহারই আসলে করেছেন রদ্রিগেজ। এখন পর্যন্ত ৩৪টি ম্যাচ খেলেছেন জার্মান জায়ান্টদের হয়ে। করেছেন ৬ গোল। ২১ গোলে সরাসরি ভূমিকা রেখেছেন। খেলেছেন মোট ২২০০মিনিট।
আনচেলত্তি আবারও চাকরি খুইয়েছেন। সাময়িক দায়িত্বে ইয়ুপ হেইঙ্কস। বর্ষীয়ান এ কোচের অধীনে যেন আরও শানিত হয়েছেন রদ্রিগেজ। বায়ার্নের মাঝমাঠে এখন গুরুত্বপূর্ণ সেনানী তিনি।
চাইলে এখনও রিয়ালে ফেরার সুযোগ থাকছে রদ্রিগেজের। বায়ার্নের সঙ্গে চুক্তিটা এক বছরের, ধারের। আবার জার্মান জায়ান্টদেরও সুযোগ আছে। চাইলে মৌসুম শেষেই কলম্বিয়ান মিডফিল্ডারকে কিনে নিতে পারবে ৪২ মিলিয়ন ইউরোতে।
এতসব হিসাব মৌসুম পরের ব্যাপার। রদ্রিগেজের সামনে এখন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চ্যালেঞ্জ। যাতে প্রতিপক্ষ তাকে ব্রাত্য বানানো রিয়াল মাদ্রিদ। কলম্বিয়ান তারকা পুরনো ক্লাবকে ছেড়ে কথা বলবেন, সেটা আশা করে নেই রিয়ালও। জিদানের দল যেটা আশা করতে পারে তা হল, নিজেকে প্রমাণের জন্য যেন এ ম্যাচটাই বেছে না নেন অবহেলিত হামেস রদ্রিগেজ।