প্রথম দেখায় নিজেদের মাঠে কোনোমতে রক্ষা পেয়েছিল বার্সেলোনা। তাতে দ্বিতীয় লোগ নিয়ে ভয়টা বেড়ে যাওয়ারই কথা। পরের লেগ যে নাপোলির ঘরের মাঠে। তবে সব ভয়, সংশয় আর দুশ্চিন্তা উড়িয়ে দিয়ে নাপোলিকে ৪-২ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে ইউরোপা লিগের শেষ ষোলোতে পৌছে গেছে জাভির দল। দুই লেগে মিলিয়ে ব্যবধান ৫-৩!
বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে নাপোলির ঘরের মাঠ স্তাদিও সান পাওলোতে ম্যাচের শুরু থেকে গোছালো ফুটবল খেলতে থাকে জাভির দল। ফল আসে ৮ মিনিটের মাথায়।
অ্যাডামা ত্রাওরের পাস থেকে বল পেয়েছিলেন এমেরিক অবামেয়াং। গ্যাবনিজ তারকা দেরি না করে বল বাড়িয়ে দিয়েছিলেন জর্দি আলবার দিকে। মাঠের বা’দিক থেকে দারুণ এক ক্রসে বার্সাকে এগিয়ে নেন স্প্যানিশ তারকা।
আলবার গোলের রেশ কাটতে না কাটতেই আবার গোল। এবার দৃশ্যপটে ডাচ তারকা লুক ডি জং। ১১ মিনিটের মাথা বল নিয়ে বক্সের কাছাকাছি চলে এসেছিলেন জং। আচমকা গোলপোস্ট লক্ষ্য করে ক্রসে বল ভাসিয়ে দেন তিনি এবং গোল!
২৩ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি পেয়ে যায় নাপোলি। বল ধরতে গিয়ে লাইন ছেড়ে বেরিয়ে এসে নাপোলির এক ফুটবলারকে ফাউল করে বসেন টের স্টেগান। রেফারিও বাঁজিয়ে দেন পেনাল্টির বাঁশি। পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্যবধান খানিকটা কমান ইনসাইন।
এরপর মাঝের সময়টায় বেশ কয়েকটা সুযোগ মিস করেছেন অবামেয়াং। তবে বিরতির ২ মিনিট আগে বার্সাকে আরেকটু এগিয়ে নেন জেরার্ড পিকে। ডি-বক্সের জটলার মধ্যে বল পেয়ে গিয়েছিলেন অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার। মাটি কামড়ানো শটে ৩-০ গোলে দলকে এগিয়ে নিতে ভুল করেননি তিনি।
বিরতির পর নেমেও নিজেদের খেলার ধারাটা ধরে রাখে বার্সা। যার জের ধরে ৫৮ মিনিটে দলীয় স্কোর 'এক হালি' পূরণ করেন অবামেয়াং। ডান দিক দিয়ে বল নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন অ্যাডামা ত্রাওরে। তার চোখ খুঁজে নেয় বক্সের বামে দাঁড়ানো অবামেয়াংকে। ত্রাওরের বাড়ানো পাসটা জাস্ট দিক ঘুরিয়ে গোলমুখে ঠেলে দিয়েছিলেন অবামেয়াং এবং গোল!
ম্যাচের ৪ মিনিট আগে ৮৬ মিনিটের মাথায় নাপোলির হয়ে আরেকটা গোল করে ব্যবধানই কেবল কমিয়েছেন পলিটানো। শেষ হাসিটা হাসলো কাতালানরাই।
স্পোর্টসমেইল২৪/এএইচবি
[আমরা এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ইনস্টল করুন আমাদের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল অ্যাপস ]