রাজনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে বেশ উত্তপ্ত রাশিয়া এবং ইউক্রেন। দুই দেশের এই থমথমে অবস্থার প্রভাব পড়েছে ক্রীড়াঙ্গনেও। যার কারণে সংশয়ের মাঝে পড়ে গেছে ২০২২ সালের চ্যাম্পিয়নস লিগ ফুটবলের ফাইনাল। রাশিয়া থেকে সরিয়ে নেয়া হতে পারে ইউরোপীয় ফুটবলের অন্যতম শীর্ষ এই আসরের মহামঞ্চ।
২০২২ সালের চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালের ভেন্যু ছিলো রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গের গ্যাজপ্রোম এরিয়ানা (ক্রেস্টভস্কি স্টেডিয়াম)। চলতি বছরের ২৮ মে অনুষ্ঠিত হবার কথা ছিলো ফাইনাল ম্যাচটি। ২০১৮ ফুটবল বিশ্বকাপের পর এটা হতো দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ক্রীড়া ইভেন্ট।
তবে রাশিয়া থেকে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল সরিয়ে নেয়া নিয়ে এখনো নতুন করে কোনো বিবৃতি দেয়নি ইউরোপীয় ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা উয়েফা। এর মধ্যে সোমবার মস্কো ঘোষণা করেছে যে, ইউক্রেনের বাহিনী দ্বারা দখলকৃত অঞ্চল পর্যন্ত ইউক্রেণের স্বাধীনতা প্রসারিত করা হয়েছে।
এর আগে এক বিবৃতিতে উয়েফা বলেছিল, পরিস্থিতির উপর তারা ক্রমাগত ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। তাতে ফাইনালের ভেন্যু পরিবর্তন করার কোন পরিকল্পনা নেই। তবে পরিস্থিতি দিন খারাপের দিকে যাওয়ায় মঙ্গলবার উয়েফার শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা আলোচনা করেছেন, যার মধ্যে এর উয়েফা সভাপতি আলেকসান্ডার সেফেরিনও ছিলেন।
ইউক্রেন ও রাশিয়ার এমন অবস্থায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, রাশিয়ার ফাইনাল আয়োজন করা উচিত নয়। এই ব্যাপারে সতর্ক করে জনসন বলেন, ‘রাশিয়া এখন আরও বিচ্ছিন্ন। সার্বভৌম দেশগুলোকে আক্রমণ করে রাশিয়ায় ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজনের কোন সুযোগ নেই।’
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গ্যাস কোম্পানি গ্যাজপ্রম ২০১২ সাল থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের স্পন্সর। একই বছর ইউক্রেন রাশিয়ার সাথে ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপের সহ-আয়োজক ছিল। কিন্তু ইউক্রেনের রাজধানীতে ২০১৮ সালে রিয়াল মাদ্রিদ ও লিভারপুলের মধ্যেকার ‘চ্যাম্পিয়ন্স ফেস্টিভ্যাল’ ফাইনাল থেকে রাশিয়ার গ্যাস কোম্পানির লোগো সরিয়ে দেওয়া হয়।
স্পোর্টসমেইল২৪/এএইচবি
[আমরা এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ইনস্টল করুন আমাদের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল অ্যাপস ]