চোট কাটিয়ে দীর্ঘ দিন পর মাঠে ফিরলেন দলের তারকা ফুটবলার নেইমরা। ফেরার ম্যাচে গোল করলেন দলের হয়ে। তবে একাদশে বাকি দুই তারকা ফুটবলার লিওনেল মেসি এবং কিলিয়ান এমবাপে থাকার পর মাঠ ছাড়তে হলো হারের লজ্জা নিয়ে। নেইমারের ফেরার ম্যাচে নঁতের বিপক্ষে ৩-১ গোলের বড় ব্যবধানে হেরে গেছে লিগ ওয়ানের শীর্ষে থাকা পিএসজি।
শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে স্বাগতিক নঁতের বিপক্ষে তারকার বহুল একদাশ নিয়েও জিততে পারেনি পিএসজি। লিগের টানা ম্যাচ অপরাজিত থাকার পর হারের স্বাদ পেল পিএসজি। চলতি মৌসুমে লিগে এর আগে তারা মাত্র এক ম্যাচে হেরেছিল তারা। সেটি ছিল গত বছরের অক্টোবরে, স্বাগতিক রেনের বিপক্ষে ২-০ গোলে। এরপর নঁতের বিপক্ষে ধরাশায়ী হলো ক্লাবটি। তবে গত নভেম্বরে নঁতের বিপক্ষে প্রথম দেখায় নিজেদের মাঠে ৩-১ গোলে জিতেছিল পিএসজি।
প্রতিপক্ষ নঁতের মাঠে ম্যাচের পুরো সময়ে বল দখলে আধিপত্য দেখিয়েছে পিএসজি। ৭২ শতাংশ সময় দখলে রেখে খেললেও গোল আদায়ে পিছিয়ে ছিল তারা। গোলের উদ্দেশে ১৬ বার শট নিলেও বার বার ব্যর্থ হতে হয়েছে। যার মধ্যে ৯ বার গোলের জন্য টার্গেট শটও ছিল।
বল দখলে আধিপত্য দেখানোর জন্য ম্যাচের শুরুতেই সুযোগ পায় পিএসজি। নেইমারের থ্রু থেকে বল ধরে হুয়ান বের্নাতের শট ঠেকিয়ে দেন নঁতের গোলরক্ষক আলবাঁ লাফুঁ। ফলে গোলে বঞ্চিত হয় পিএসজি। তবে নঁত ঠিকই সফল হয়।
পিএসজির আক্রমণের পরের মিনিটেই এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে পিএসজির ডি-বক্সে ডুবে রানডাল কোলো মুয়ানি গোলরক্ষকে পরাস্ত করেন। শুরুতেই এগিয়ে যায় তারা।
বিরতিতে যাওয়া আগে গোলর ব্যবধান দ্বিগুণ করে স্বাগতিকরা। ম্যাচের ১৬তম মিনিটে সতীর্থের পাস পেয়ে ডি-বক্স থেকে দূরের পোস্ট দিয়ে বল জালে জাড়ান কুইন্টিন মেরলিন। ২-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর বিরতিতে যাওয়ার আগে আরও একটি গোল পায় নঁত।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ডি-বক্সে পিএসজির মিডফিল্ডার জর্জিনিয়ো ভেইনালডামের হাতে বল লাগলে ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টির বাঁশি বাজা রেফারি। ফলে ম্যাচের ৪৫+৬ মিনিটে আরও সফল স্পট কিক থেকে গোল খেয়ে বসে পিএসজি।
৩-০ গোলে পিছিয়ে যাওয়ার পর বিরতিতে থেকে ফিরে শুরুতেই ব্যবধান কমান দীর্ঘদিন পর মাঠে ফেরা নেইমার। মেসির পাস থেকে ডি-বক্সে বল পেয়ে ডিফেন্ডারের বাধা কাটিয়ে গোলের স্কোর লাইন ৩-১ করে তিনি। ম্যাচে ৪৭তম মিনিটের পর আর কোনো গোল হয়নি। তবে ম্যাচে উত্তেজনা ছড়িয়েছে বেশ।
পেনাল্টি মিস করার পর নেইমার, ছবি : পিএসজি
ম্যাচের বাকি সময়ে ম্যাচে ফিরতে বেশ কয়েকবার সুযোগ পেয়েছে পিএসজি। তবে নিজেদের ভুলে আর ফেরা হয়ে উঠেনি। ৫৪তম মিনিটে এমবাপে সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেননি। নেইমারের বাড়ানো বল ধরে নঁতের ডি-বক্সে ঢুকে শট নিলেও তা কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন লাফুঁ।
৫৮তম মিনিটে এমবাপে ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। তবে নেইমারের নেওয়া দুর্বল স্পট কিক সহজেই ঠেকিয়ে দেন নঁতের গোলরক্ষক। ফলে আবারও গোল বঞ্চিত হয় পিএসজি। এরপর ৬৯তম মিনিটে গোলরক্ষকের বাধা পেরিয়ে বল পেলেও গোল করতে পারেননি মেসি। শুধু নেইমার-মেসি নয়, এমবাপেও আরও একটি সুযোগ মিস করেন।
ম্যাচের ৭৩তম মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ পেয়েও গোলের ব্যবধান কমাতে পারেননি এমবাপে। ডি-বক্সে বল নিয়ে একমাত্র গোলরক্ষকের বাধা থাকলেও অবিশ্বাস্যভাবে বল উড়িয়ে মারেন তিনি। তারকা বহুল দলের তারকাদের এমন ভুলে শেষ পর্যন্ত ৩-১ গোলের বড় ব্যবধানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় শীর্ষে থাকা পিএসজির।
লিগের ২৫ ম্যাচে ১৮টি জয়, ৫টি ড্র এবং ২টি হার নিয়ে মোট ৫৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে পিএসজি। মেসি-নেইমারদের চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলে ৪৬ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে মার্সেই। আর ২৫ ম্যাচ খেলে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচ নম্বরে উঠে এসেছে নঁত।
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস
[আমরা এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ইনস্টল করুন আমাদের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল অ্যাপস ]