তারকাদের আলো ছড়ানো ম্যাচে সেভিয়াকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে টানা চতুর্থবারের মতো কোপা দেল রের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বার্সেলোনা।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিয়ে মানসিকভাবে কিছুটা পিছিয়েই ছিল বার্সেলোনা। রোমার কাছে সেই হারের প্রতিশোধ ভুলতে মৌসুমের প্রথম ট্রফি জিততে মুখিয়ে ছিল ভালভার্দের দল। শক্তিশালী সেভিয়াকে মাটিতে নামিয়ে সেই প্রতিশোধটাই না নিল বার্সা। প্রথম দল হিসেবে টানা চারবার কোপা দেল রে’র শিরোপা জিতলো মেসিরা।
মৌসুম শেষেই ক্লাব ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন ইনিয়েস্তা। মূলত তার বার্সেলোনার ক্যারিয়ারের শেষটা আরও বর্ণালি করে রাঙিয়ে দিতে বার্সেলোনার খেলোয়াড়রা ছিল দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। ম্যাচের শুরুতেই গোল পেয়ে যায় বার্সা। ১৪ মিনিটে সুয়ারেজের অসাধারণ গোলে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় ভালভার্দের দল।
ম্যাচের ১৮ মিনিটে সমতায় ফেরার সুযোগ পেয়েছিল সেভিয়া কিন্তু নাভাসের বাড়ানো বলে বার্সার রক্ষণভাগে চারজন সেভিয়া ফুটবলার থাকলেও একজনও তাতে সঠিকভাবে পা ছোঁয়াতে পারেননি। এর ঠিক ৩ মিনিট পরেই বার্সেলোনাকে ২-০ গোলে এগিয়ে দেন আর্জেন্টাইন যাদুকর মেসি। কোপার ইতিহাসে দ্বিতীয় ফুটবলার হিসেবে ৫টি ফাইনালে গোল করার রেকর্ড গড়লেন তিনি। এর আগে অ্যাথলেটিক বিলবাওর তেলমো জারা পাঁচটি কোপা ফাইনালে গোল করেছিলেন।
দুই গোলে এগিয়ে থেকেও আক্রমণ চালিয়ে যায় বার্সা। আক্রমণের সামনে সেভিয়া গোলকিপারকে একদম অসহায় লাগছিল। ৪০ মিনিটে মেসির কাছ বল পেয়ে সেটিকে গোলে রূপান্তর করে বার্সার জার্সি গায়ে ১৫০তম গোলটি করেন লুইস সুয়ারেজ। ৩-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় মেসিরা।
ফিরেও চলে বার্সেলোনার ফুটবলারদের আধিপত্য। ৫২ মিনিটে মেসির কাছ থেকে বল পেয়ে ডান পায়ের দুর্দান্ত শটে নিজের শেষ ফাইনালে গোল করে ফাইনালটিকে স্মরণীয় করে রাখেন আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা। ৬৯ মিনিটে সেভিয়ার রক্ষণভাগে তাদেরই ফুটবলার ল্যাংলেটের হাতে বল লাগলে রেফারি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন।
বার্সার জার্সিতে পেনাল্টি থেকে প্রথম ফাইনালেই গোল করেন লিভারপুল থেকে খেলতে আসা ব্রাজিলিয়ান ফিলিপ কৌতিনহো। ৫ গোলের ব্যবধানে কোপা ফাইনালে বড় জয় শেষবার দেখা গিয়েছিল ১৯৮০ সালে। সেবার রিয়াল মাদ্রিদ তাদের দ্বিতীয় দল কাস্তিয়াকে ৬-১ গোলে হারিয়েছিল।
এ জয়ে শেষ দশ বছরে ছয়বারই কোপার শিরোপা জিতলো বার্সেলোনা।