২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে লাতিন অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে মাঠে নেমেছিল দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল। কিন্তু করোনার জন্য নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে হঠাৎ সেই ম্যাচ বন্ধ করে দেয় ব্রাজিলের স্বাস্থ্য বিভাগ। অবশেষে নানা কল্পনা জল্পনার পর সেই ম্যাচ নিয়ে রায় দিলো ফুটবলের সর্বোচ্চ অভিভাবক সংস্থা ফিফা।
২০২১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ব্রাজিলের করোনা প্রটোকল দেখিয়ে আর্জেন্টিনার চার খেলোয়াড়কে নিয়ে প্রশ্ন তোলে ব্রাজিলের স্বাস্থ্য বিভাগ। তাদের অভিযোগ ছিল, করোনা প্রোটোকল ভেঙ্গে এই চারজনকেমাঠে নামিয়েছে আর্জেন্টিনা। যে কারণে সেই ম্যাচ আর পুরোটা খেলা সম্ভব হয়নি। বন্ধ হয়ে যায় পাঁচ মিনিটের মাথায়।
এই ঘটনার পর চারদিকে গুঞ্জন উঠেছিল যে, যেকোনো এক দলকে ৩-০ গোলে জয়ী ঘোষণা করতে পারে ফিফা। তবে হলো ঠিক উল্টোটা। প্রায় পাঁচ মাস পর এসে সেই ম্যাচ নিয়ে রায় দিতে গিয়ে আর্জেন্টিনার চার খেলোয়াড়কে দুই ম্যাচের জন্য নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ফুটবলের আন্তর্জাতিক সংস্থা।
নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়া আর্জেন্টিনার চার ফুটবলার হলেন এমিলিয়ানো বুয়েন্দিয়া, এমিলিয়ানো মার্টিনেজ, জিওভানি লো সেলসো এবং ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো। আগামী দুই ম্যাচে এই চারজনকে মাঠে পাবে না আর্জেন্টিনা।
সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ঘোষিত রায়ে আর্জেন্টিনার চার খেলোয়াড়ের নিষেধাজ্ঞা ছাড়াও বিশাল অঙ্কের জরিমানা গুনতে হচ্ছে দুই দেশের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকে। এর মধ্যে খেলায় বিঘ্ন ঘটানোর দায়ে ব্রাজিল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকে জরিমানা করা হয়েছে সাড়ে ৫ লাখ সুইস ফ্রাঁ।
অন্যদিকে যথাযথ কারণ না দেখিয়েই খেলোয়াড় মাঠে নামিয়ে দেওয়া আর্জেন্টাইন অ্যাসোসিয়েশনকে গুনতে হচ্ছে আড়াই লাখ সুইস ফ্রাঁ। উপরি শাস্তি হিসাবে ম্যাচ পরিত্যক্ত করার অপরাধে দুই দলকেই সমান ৫০ হাজার সুইস ফ্রাঁ করে জরিমানা করা হয়েছে।
তবে ফিফার এই রায়ে সন্তুষ্ট নয় ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। দুই ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনই দুই ভিন্ন বিবৃতিতে এই রায় নিয়ে নিজেদের অপরাগতার কথা জানিয়েছে। ফিফার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার ঘোষণা দিয়েছে দুই দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা।
স্পোর্টসমেইল২৪/এএইচবি
[আমরা এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ইনস্টল করুন আমাদের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল অ্যাপস ]